পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার সকাল আটটায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৯৬৩ জন। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত সংক্রামিতের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৩৮ জন। পাশাপাশি, একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৯১ জনের। এদিনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আয়ুষমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক। তিনি হোম আইসোলেশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নিয়ে পাঁচজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে, করোনামুক্ত হয়েছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
দেশবাসীকে স্বস্তি দিচ্ছে ভারতে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৭০.৩৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ১১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৯৯ জন। মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৪৮ জন। অর্থাৎ, ভারতে যতজন করোনা আক্রান্ত তার ২৭.৬৪ শতাংশ চিকিৎসাধীন। এদিন মৃত্যুহার কমে হয়েছে ১.৯৮ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, ৭০ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার অর্থ ভারতীয়দের মধ্যে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়ে যাওয়া। বিজ্ঞানীদের ভাষায় যা ‘হার্ড ইমিউনিটি’ নামে পরিচিত। এদিকে, আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দেশজুড়ে ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৪৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যা করোনা কালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৬০ লক্ষ ১৫ হাজার ২৯৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। আক্রান্তের তালিকায় এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক। মৃত্যুর বিচারে মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ওড়িশাতে এই প্রথম একদিনে আক্রান্তের তুলনায় বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন।