কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। রিয়া চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একাংশ ডিলিট করা হয়েছে। সেখানে কী ছিল? কেনই বা ডিলিট করা হল? এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছে ইডি। সূত্রের খবর জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ক্রমেই সুশান্তর মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। আমি ওকে সামলাতে পারিনি। বলেছিলাম বাড়ির লোকের কাছে যাও। আমি সুশান্তকে একা ফেলে যাইনি, সুশান্তর বোন আসার পর আমি চলে আসি।
এই পরিস্থিতিতে সুশান্তের পরিবার ন’পাতার একটি চিঠি প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে, আত্মহত্যা নয়, অভিনেতাকে খুনই করা হয়েছে। হিন্দিতে লেখা ওই চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে সুশান্তকে গ্রাম থেকে শহরে তুলে আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সুশান্ত মৃত্যু তদন্তের দায়ভার নিয়েছে সিবিআই। মামলার আর্থিক তছরুপের দিকটির তদন্ত করছে ইডি।
এদিকে, সুশান্ত সিংয়ের বাবা কে কে সিংয়ের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধান্ত পিথানি রিয়াকে সাহায্য করছেন। আইনজীবী বিকাশ সিং বলেছেন, পিথানি একজন বুদ্ধিমান অপরাধী। এফআইআর দায়ের না হওয়া পর্যন্ত উনি সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। কিন্তু, এফআইআর দায়ের হতেই এখন রিয়াকে সাহায্য করছেন।
অন্যদিকে, সুশান্ত মৃত্যু তদন্তভার বিহার পুলিসের সিবিআইয়ের হাতে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। আর তা বিহার বনাম মহারাষ্ট্রের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিরোধী দল বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে সুশান্ত মৃত্যু-রহস্যে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন শারদ পাওয়ারের নাতি তথা ভাইপো অজিত পাওয়ারের পুত্র পার্থ। যদিও এনসিপি সুপ্রিমো বলেছেন, এটা শিশুসুলভ আচরণ। সরকার ও শরিক দল শিবসেনার পাশে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, মহারাষ্ট্র পুলিসের উপর আমার আস্থা রয়েছে। একইসঙ্গে, সুশান্ত-রিয়া তদন্তে উদ্ধব পুত্র আদিত্য থ্যাকারের নাম জড়াতে পারে বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছে, তাও খারিজ করে দিয়েছেন শারদ পাওয়ার।