গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গতকাল বিমানের ‘টাচ ডাউন’ তত্ত্বে জোর দিয়ে ডিজিসিএ প্রধান অরুণ কুমার বলেছিলেন, ‘দেরি করে মাটি ছুঁয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ওই বিমান। ফলে চালক শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। যার জেরে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে পুরোটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ।’ মঙ্গলবার প্রত্যক্ষদর্শী সিআইএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর অজিত সিং অবশ্য দাবি করেছেন, ‘চাকা পিছলে যাওয়ার কারণে বিমানটি ৩৫ ফুট নীচে গিয়ে পড়েনি। রানওয়ের শেষ অংশ থেকে বিমানটি ফের ওড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ব্যর্থ হয়ে সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে। চোখের পলকে মাত্র ৪ সেকেন্ডের মধ্যে গোটা ঘটনাটি ঘটেছিল। পুরোটাই আমার চোখের সামনেই হয়েছে।’ ঘটনার দিন কোঝিকোড় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে কর্তব্যরত ছিলেন অজিত।
দুর্ঘটনার দিন বিপদের এতটুকু পরোয়া না করেই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ফজলরা। ধ্বংসাবশেষ থেকে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত যাত্রীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন তাঁরা। ফলে বহু যাত্রী সেদিন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। একথা অকপটে স্বীকারও করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এবার আর মুখের কথা নয়। স্থানীয় মানুষদের ‘ধন্যবাদ’ জানাতে উদ্ধারকারীদের কাছে পৌঁছে যান কেরল পুলিসের এক পদস্থ কর্তা। তাঁদের অবাক করে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ‘স্যালুট’ ঠোকেন তিনি।
এদিকে, বিমানের চাকা পিছলে যাওয়ার কারণেই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি নীচে পড়ে গিয়েছিল বলে বিভিন্ন মহলে দাবি করা হচ্ছিল। ডিজিসিএ প্রধান অরুণ কুমারও দাবি করেছিলেন, ‘দেরিতে রানওয়ে ছোঁয়ার কারণেই বিমানটির চাকা পিছলে যায়। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ, সিআইএসএফ কর্তা অজিত সিংয়ের বলেছেন, ‘বিগত পাঁচ বছর ধরে বিমান ওঠানামা দেখছি। সেদিন এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসটির চাকা পিছলে যায়নি। যদি তাই হতো তা হলে, পাহাড়ের ধাপে ধাপে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যেত। এক্ষেত্রে তা হয়নি। তা ছাড়া চাকা পিছলে যাওয়ার কোনও আওয়াজ পাওয়া যায়নি। পাইলট শেষ মুহূর্তে বিমানটি ওড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর তাতেই সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে।’
ইতিমধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নথি, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, ককপিট ডেটা রেকর্ডার ইত্যাদি যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখার পরই আসল কারণ জানা যাবে। এদিকে, সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলট দীপক শাঠের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মুম্বইতে। এদিন তাঁর চান্দেভালির বাড়ি থেকে শেষ যাত্রা শুরু হয়। বায়ুসেনার প্রাক্তন পাইলটকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ রাস্তার দু’ধারে জড়ো হয়েছিলেন। অনেকেই পুস্পস্তবক দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। ভিখরোলি শশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।