বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বর্তমানে রেলের দুটো ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ চলছে। ইস্টার্ন ডিএফসি এবং ওয়েস্টার্ন ডিএফসি। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই ফ্রেট করিডর দিয়ে পণ্য পরিবহণের জন্য কয়েকটি রুটকে বেছে নেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। জানা যাচ্ছে, একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ইঙ্গিতই দিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘ডিএফসি তৈরি হয়ে গেলে ক্যাপাসিটি অনেক বাড়বে। ফলে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি আরও বেশি মালগাড়িও চালানো হবে। এই কারণেই ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর দিয়ে পণ্য পরিবহণের ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থার উপরও দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রেলমন্ত্রক।’
রেল বোর্ড আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের ১০৯টি রুটে ১৫১টি যাত্রীবাহী ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। যা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। তার রেশ কাটার আগেই পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে রেলের এহেন বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে পণ্য পরিবহণকারী ট্রেন। ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে মোট ২০৩ কিলোমিটার অংশ। পাঞ্জাবে ৮৮ কিলোমিটার, হরিয়ানায় ৭২ কিলোমিটার, বিহারে ২৩৯ কিলোমিটার এবং ঝাড়খণ্ডে রয়েছে ১৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে সবথেকে বেশি অংশ রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ১ হাজার ৫৮ কিলোমিটার। বিহারের সোননগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনি পর্যন্ত ইস্টার্ন ডিএফসি প্রকল্পের কাজ হচ্ছে পিপিপি মডেলে। এক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকলেও ২০২১ সালের মধ্যেই তার সমাধান হয়ে যাবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে রেল বোর্ড।