পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উম-পুন দুর্গতদের সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বজন-পোষণ ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠে। শাসক দল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি একই অভিযোগে বিদ্ধ হয় বিজেপিও। প্রকৃত দুর্গতদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই ঠিক হয়, যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি, তাঁরা নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন। সরকারের তরফে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়, আগস্ট মাসের ৬ এবং ৭ তারিখ আবেদন করতে পারবেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা। সূত্রের খবর, ওই দু’দিন, অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতা পুর এলাকা থেকে নতুন করে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজার। কিন্তু কেন এত সংখ্যক আবেদন জমা পড়ল, তার কারণ খুঁজতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তরা ২০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তরা ৫ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন। সেই ঘোষণার পর প্রথম পর্বে উম-পুন বিধ্বস্ত জেলাগুলি থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ২২ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার আবেদনকারী সাহায্য পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা বিলি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চায়েত কর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ ওঠে। ঝড়ে কোনও ক্ষতিই হয়নি। অথচ, বহু পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর স্ত্রী অথবা আত্মীয়-স্বজনের নাম ক্ষতিপূরণ প্রাপকের তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-আন্দোলনও শুরু করেন বিরোধীরা। অনিয়মে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দল থেকে তাড়িয়েও দেয় শাসকদল। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ প্রশমিত না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন করে আবেদন গ্রহণের কাজ শুরু হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় পর্বে সবচেয়ে বেশি ২ লক্ষ ৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। তারপরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলায় জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার আবেদন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা ১ লক্ষ ১৭ হাজার। বাকি আবেদনগুলো জমা পড়েছে কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলি জেলা থেকে। আগামী ১৪ আগস্ট সব আবেদনপত্রের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও অফিস এবং সংশ্লিষ্ট পুরসভা ভবনে। এরপর ঝাড়াই-বাছাই করে পূর্ণাঙ্গ তালিকা রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘এগিয়ে বাংলা’ এবং জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে আগামী ১৯ আগস্ট।