গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শচীন পাইলট নিজেই গতকাল রাত ১ টার সময় ট্যুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি আমার বিশ্বাসে অনড় থেকেই দেশ এবং রাজস্থানের জন্য কাজ করব।’ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার সবটাই সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানাতে পেরেছেন। এতে করে তিনি সন্তুষ্ট বলেও উল্লেখ করেছেন। যদিও এআইসিসির পক্ষ থেকে সব মিটে গিয়েছে, বলা হলেও শচীন পাইলটকে রাজস্থানের রাজনীতি থেকে জাতীয় পর্যায়ে সরিয়ে আনার পরিকল্পনাই করেছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। পাইলট বিধায়ক পদে যেমন আছেন থাকবেন।
শোনা যাচ্ছে, পাইলটকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যুব কংগ্রেসের ইনচার্জও করা হতে পারে তাঁকে। এর উদ্দেশ্য একটাই, যাতে গেহলটের সঙ্গে ফের কোনও বিবাদের সম্ভাবনা তৈরি না হয়। আবার এআইসিসিতে রাহুল-ব্রিগেডের দাপটও বাড়ে। কারণ, শচীনকে যেভাবে ‘অপদার্থ’ বলে অশোক গেহলট প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, তা মোটেই ভুলতে পারছেন না পাইলট। রাহুল, প্রিয়াঙ্কার কাছে এই ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে বিজেপির হাত থেকে রাজস্থানে দল ও সরকারকে বাঁচাতে তাঁকে সব ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। শচীন সহ ১৯ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে কংগ্রেস যে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছিল, তার সুরও নরম করা হচ্ছে। শচীন শিবিরের যে দু’জনকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাঁদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মধ্যে থেকে চারজনকে মন্ত্রীও করা হতে পারে।
ওদিকে, রাহুলের মধ্যস্থতায় প্রায় এক মাস ধরে চলা দলীয় কোন্দলের ইতি হওয়ায় এআইসিসিতে ফের নতুন করে সভাপতির দায়িত্বে সোনিয়া-পুত্রকে ফেরানোর দাবি উঠছে। দলের পক্ষ মুখপাত্র বলেছেন, গান্ধী পদবির জন্য নয়। দূরদর্শিতা এবং সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতার বিচারেই কমবেশি সব কংগ্রেসি চান রাহুল গান্ধী ফের সভাপতির দায়িত্ব নিন। তবে এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। শীঘ্রই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।