রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রণববাবুর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, ‘রবিবার রাতে বাবা বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে ডাক্তার। রাতে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। তবে সোমবার ঘুম থেকে ওঠার পরই শরীরে অবশ ভাব অনুভব করেন তিনি। তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সেনা হাসপাতালে। মস্তিস্কের স্ক্যান করে দেখা যায়, রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই দেরি না করে ডাক্তারদের পরামর্শ মতোই অস্ত্রোপচার হয়েছে।’
এদিকে, দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়ছেই। বাড়ছে সুস্থতার হারও। কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই ধারা বজায় রেখে সোমবারও নতুন করে ৬২ হাজার ৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। সেইসঙ্গে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২২ লক্ষের গণ্ডি। এ যাবৎ ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ২২ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৪ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪ হাজার ২৮৬ জন। পাশাপাশি, এদিন করোনামুক্ত হয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
তবে সংক্রমণ বাড়লেও ভারতকে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। করোনাকে হারিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৮৫৯ জন, যা এ পর্যন্ত সর্বাধিক। এর ফলে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই পরিসংখ্যানকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৪৩ জন। সুস্থতার হার বেড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ। কেন্দ্রের হিসেবে, সুস্থতার হার ৬৮.৭৮ শতাংশ। কমছে মৃত্যুর হারও। গত সপ্তাহে সেই হার ছিল ২.৩৩ শতাংশ। সেখান থেকেই মৃত্যুর হার এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ২.১৩ শতাংশে। এদিন তা আরও কমে হয়েছে ২ শতাংশ।
একদিকে সুস্থতার হার বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে মৃত্যুর হার কমার জেরে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ২৮.৬৬ শতাংশ। বর্তমানে সারা দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৪৫ জন। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক। মৃত্যুর বিচারে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।