গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী গেহলট ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শচীন পাইলট। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁকে আলোচনার টেবিলে বসানোর চেষ্টা করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বে। সক্রিয় হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কাও। কিন্তু, গেটলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে না সরালে কোনও বৈঠকে বসবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন শচীন। ফলে আরও জোরদার হয় গেহলট বনাম পাইলট দ্বন্দ্ব। কিন্তু, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়ার সময় হাইকমান্ড যে ভুল করেছিল, এবার আর তার পুনরাবৃত্তি করতে চায়নি তারা। তাই শচীন কঠোর মনোভাব দেখালেও নরমে-গরমে বরফ গলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে, পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সুর নরম করতে বাধ্য হয় বিদ্রোহী শিবিরও। পাইলট দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে থাকা ১৮ জন বিধায়ক ছাড়াও আরও ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন তাঁর সঙ্গে আছে। তবে বেশ কয়েকসপ্তাহ কেটে গেলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি। পাশাপাশি, সরকার ভাঙার চেষ্টার অভিযোগে শচীনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক চাপও বাড়ছিল। তারমধ্যেই টলমল গদি শক্তপোক্ত করে ফেলেন গেহলট। আস্থা ভোটেও জেতার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নিশ্চিত করে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে ক্রমশ সুর নরম করেন বিদ্রোহী প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। সপ্তাহ দু’য়েক আগে দিল্লিতে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বৈঠক সারেন শচীন। বিগত কয়েকদিনে রাহুলের সঙ্গেও ফোনে দু’-একবার কথা বলেছেন তিনি। তারপরই গোঁ ছেড়ে বৈঠকে বসতে রাজি হয়ে যান বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা।
দলীয় সূত্রে খবর, সোমবারের বৈঠক থেকে খালি হাতে ফেরেননি শচীন। রাজস্থানে তিনি ও তাঁর সহযোগী বিদ্রোহী বিধায়ক-নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী গেহলটও তাতে সায় দিয়েছেন। কিন্তু, সোমবারের বৈঠকে কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। শুধু তাই নয়, মিটমাট করে নিলে উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতির পদও ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তবে শচীন শিবিরের মূল দাবি, গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো নিয়ে কোনও কথা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অপরদিকে, সম্প্রতি গেটলট শিবিরে যোগ দেওয়া ৬ বিএসপি বিধায়কের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক মদন দিলাওয়ার। মঙ্গলবার এই মামলায় শুনানি হবে।