বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোভিডের বেয়াড়াপনায় সবকিছুই এখন বেসামাল। ধাক্কা খাচ্ছে দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘বোল্ড ইমেজ’। থমকে গিয়েছে সরকারি অফিসে দুর্নীতি সংক্রান্ত বা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া। মহামারীর সুযোগ নিচ্ছে একটি ‘প্রভাবশালী চক্র’। সম্প্রতি ঘুরপথে এই সব অভিযোগ কানে যেতে মোদি বেজায় চটেছেন বলে সূত্রের খবর। সেই ক্ষোভ তিনি চাপা রাখেননি মন্ত্রিসভার সতীর্থদের কাছেও। জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার বাহানায় সরকারের ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ কালিমালিপ্ত যেন না হয়। মোদির সাফ কথা, ‘সরকারি অফিসে দুর্নীতি বা বিশৃঙ্খলায় অভিযুক্তদের কোনওভাবে রেয়াত করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর এহেন কঠোর মনোভাবের পরেই নড়েচড়ে বসে তাঁর হাতে থাকা কর্মিবর্গ, জন অভিযোগ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রক। গত ৫ আগস্ট প্রতিটি মন্ত্রকে এক সার্কুলার জারি করেন আন্ডার সেক্রেটারি সতীশ কুমার। সেই নির্দেশিকায় তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মহামারী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রক ও তাদের অধীনস্থ বিভাগগুলিতে দুর্নীতি ও শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগের তদন্ত থমকে রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে হয় কাজ এগচ্ছে ধীর গতিতে, নতুবা একেবারে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনও কাম্য নয়। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যথাসম্ভব ভিডিও কনফারেন্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত দ্রুত সেরে ফেলতে হবে। কোনওভাবেই ফেলে রাখা চলবে না। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিককেই করতে হবে। তবে ডিজিটাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর ন্যায্য বিচার পাওয়ার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে ২০১৭ সালের পুরনো একটি নির্দেশিকার উদাহরণও দিয়েছেন সতীশ কুমার। সেখানে বলা ছিল, স্বাক্ষ্য গ্রহণ বা নথি সংগ্রহে তদন্তকারীদের ঘটনাস্থলে যেতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। ভিডিও কনফারেন্সে সেই কাজ করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, মহামারীর অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি সহ নানা ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কয়েকশো অভিযোগের তদন্ত কার্যত শিকেয় তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা দিব্যি কাজ করে বেড়াচ্ছেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন অভিযোগকারীরা। ভার্চুয়াল তদন্ত শুরু হলে উভয় পক্ষেরই সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।