পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশের প্রবীণ নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বার্ষিক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই সংক্রান্ত্র একগুচ্ছ সুপারিশ বিভিন্ন মন্ত্রকে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। যেমন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পাঠানো সুপারিশে সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক বলেছে, বয়স্ক মানুষদের উপর ঘটে চলা অপরাধ নিয়েও সবিস্তারে তথ্য জোগাড় করতে হবে। প্রবীণ নাগরিকদের উপর অপরাধ ঠেকাতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার প্রচারও চালাতে বলা হয়েছে। দেশের প্রবীণ মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একাধিক মন্ত্রককে তাঁদের জন্য পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করার সুপারিশ জমা পড়েছে। প্রস্তাব করা হয়েছে একাধিক ট্যুর সার্কিটেরও বন্দোবস্ত করারও। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই লক্ষ্যে মোট পাঁচটি মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে তারা। সেগুলি হল, পর্যটন মন্ত্রক, রেলমন্ত্রক, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এবং জাহাজ মন্ত্রক। বয়স্ক মানুষদের জন্য উপযুক্ত পর্যটন প্যাকেজ কী হতে পারে, তা এই পাঁচটি মন্ত্রককেই চূড়ান্ত করতে বলেছে ন্যায়বিচার মন্ত্রক।
এই পরিকল্পনারই আওতায় রয়েছে সিনিয়র সিটিজেনদের রোগভোগ এবং মৃত্যুর হারের তথ্যভাণ্ডার তৈরি। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত তথ্য সংগ্রহ করা হবে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার স্যাম্পেল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) মাধ্যমে। জনগণনার মাধ্যমে পাওয়া তথ্যও এক্ষেত্রে ব্যবহারের সুপারিশ করেছে সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক। জীবন ধারণের মান একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো সময় এবং সুযোগ কোনওটাই হয়তো এখন কেন্দ্র পাবে না। অবশ্যই বাধা হয়ে দাঁড়াবে করোনা। তাই আপাতত মরবিডিটি কিংবা মর্টালিটির তথ্যভাণ্ডার তৈরিতেই নজর দিতে চাইছে সরকার। করোনার কারণে নাই বা হোক, সংক্রমণের পরিসংখ্যানের কাজে যা কিন্তু লেগে যেতেই পারে।