কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোঝিকোড়েই চিকিৎসাধীন অভীক। শনিবারও বাবা-মার সঙ্গে কথা হয়েছে। ফলে এদিন কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে ভারতীদেবীর মুখে। এখন শুধু চাইছেন, ছেলে একবার অন্তত বাড়ি আসুক। বাবা অজয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার সময়েই অভীক আহত হয়। তারপরেও যাত্রীদের পিছনের দরজা দিয়ে বের করার সময় ওর জখম বাড়ে। ছেলে বলেছে, ও নিরাপদেই রয়েছে।’ প্রতিবার উড়ানের আগে ও অবতরণের পরে বাড়িতে ফোন করতেন অভীক। শুক্রবার দুপুর দু’টো নাগাদ দুবাই থেকে কেরল রওনা হওয়ার সময়ও নিয়মমতো ফোনটা এসেছিল। তাই দুর্ঘটনার খবর দেখামাত্র বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল পরিবারের।
এদিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার হয়েছে। পরবর্তী তদন্তের জন্য ব্ল্যাকবক্স পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে। দুর্ঘটনায় বিমানটির পাইলটের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে কো-পাইলটেরও। তবে চার কেবিন ক্রু গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এদিন আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮। মালাপ্পুরমের জেলাশাসক কে গোপালকৃষ্ণন বলেন, মৃতদের মধ্যে একজনকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শনিবার কোঝিকোড়ে এসে পৌঁছন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। নিহতদের পরিবার পিছু কেন্দ্রের তরফে ১০ লক্ষ, গুরুতর জখমদের ২ লক্ষ টাকা ও অল্প আহত যাত্রীদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হয়েছে। পাশাপাশি কেরল সরকারও নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই কোঝিকোড় বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে ব্যাপক গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। পাহাড়ের উপর ‘টেবিলটপ’ বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, জল জমে থাকা... অভিযোগ আজকের নয়। গত বছর ২ জুলাই বিপদসঙ্কুল রানওয়েতে অবতরণের সময় সৌদি থেকে ফেরা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমানের লেজ ঠোকা খেয়ে বিপত্তিতে পড়ে। তা নিয়ে বিমানবন্দরের ডিরেক্টরকে শো-কজ করেছিল ডিজিসিএ। এমনকী গতকাল যে ১০ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে, তার বেহাল দশা নিয়ে ২০১১ সালেই সতর্ক করেছিলেন ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন। তখন তিনি অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত নিরাপত্তা উপদেষ্টা কমিটির অপারেশনস গ্রুপের সদস্য ছিলেন। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।