পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোভিডের সংক্রমণ রুখতে ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয় গোটা দেশে। সেই থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ। এখন অনলাইনেই চলছে পঠনপাঠন। এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নতুন সেশন। কয়েকটি রাজ্য বাদে করোনা-পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই স্বাস্থ্যবিধি সুনিশ্চিত করে সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। পরীক্ষামূলকভাবে উঁচু ক্লাস দিয়ে শুরু। পরে অন্যান্য ক্লাসও চালু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্যগুলির হাতেই ছাড়া হচ্ছে। তাদের কাছে বিস্তারিত মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে থাকছে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী। এক একটি ক্লাসের প্রতিটি সেকশন বা বিভাগকে ভাগ করে দেওয়া হবে। একদিন অন্তর এক একটি বিভাগের ক্লাস হবে। দূরত্ববিধি বজায় রাখতে দুটি শিফ্টে ভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একটা শিফ্ট। দ্বিতীয় শিফ্ট দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত। মাঝের ওই এক ঘণ্টা স্যানিটাইজ হবে গোটা স্কুল। পরিকল্পনা সফল হলে ধীরে ধীরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ক্লাসও চালু হবে। তবে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ—এখনই চালু না করার পক্ষেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরল, অসম, বিহার, রাজস্থান, লাদাখের মতো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আগস্টের শেষ অথবা সেপ্টেম্বর মাস থেকে স্কুল খোলার ব্যাপারে সায় দিয়েছে বলে খবর। তবে বেশিরভাগ রাজ্যই এখনও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবসের পর স্কুল খোলার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তবে তিনি এটাও জানিয়ে রেখেছেন, সবটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। মন্ত্রকের অফিসাররা বলছেন, শিক্ষা রাজ্যেরও বিষয়। কেন্দ্র নীতি তৈরি করতে পারে। পরামর্শ দিতে পারে। আদতে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যই। স্কুল খোলার ব্যাপারে সুইজারল্যান্ড মোটামুটি সফল। তাই তাদের অনুসরণ করা হচ্ছে।