পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষিতে ব্যাপক ফলন এবং কৃষি সংক্রান্ত শিল্পোৎপাদনে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। কিন্তু এখনও অনিশ্চিত শহরের অর্থনীতি। শহরাঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকা বিক্ষিপ্ত লকডাউনের জেরে স্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন কার্যত স্তব্ধ। সেই কারণে আপাতত গ্রামভিত্তিক অর্থনীতির উপর নির্ভর করে চলতি আর্থিক বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে মোদি সরকার। আর অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারের সেই লক্ষ্যপূরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের ঘোষণা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই বিপুল তহবিলের মাধ্যমে ফসল কাটার পরবর্তী যাবতীয় কৃষি পরিচালন ব্যবস্থা, কমিউনিটি ফার্মিং, মার্কেটিং সেন্টার, হিমঘর, শস্য সংগ্রহ কেন্দ্র, প্রসেসিং কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যে রাজ্যগুলিতে ফসল এবং কৃষিজাত শিল্পের পণ্য উৎপাদন ও মার্কেটিং বেশি হয়, সেগুলিকে চিহ্নিত করে এই প্যাকেজের আওতায় আনবে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে লাভবান হবে কৃষক, তাদের সংগঠন, কৃষিজাত পণ্য বিপণনের সমবায় সমিতি, স্বনিযুক্তি প্রকল্প গোষ্ঠী, জয়েন্ট লায়াবিলিটি গ্রুপ, মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি, কেন্দ্র-রাজ্য বা পুর-পঞ্চায়েত পরিচালিত বেসরকারি ও সরকারি যৌথ উদ্যোগের প্রকল্পগুলি। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও মানুষ এই প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে। এদিকে, ইতিমধ্যেই কৃষিতে যন্ত্রাংশকরণের জন্য রাজ্যগুলিকে ৫৩৩ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।
লকডাউনের পর আনলক পর্ব শুরু হলেও সংক্রমণ বাগে আসেনি। ফলে নতুন করে একের পর এক রাজ্যের শহরাঞ্চলে আংশিক অথবা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করতে হয়েছে। এর ফলে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ ও জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আনলক পর্বের শুরুতে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে হলেও শুরু হয়েছিল, তা ফের থমকে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালু না হওয়ায় স্বাভাবিক জীবিকা নির্বাহের প্রক্রিয়াও একপ্রকার স্তব্ধ। এই অবস্থাতেও বেশ কিছু ইতিবাচক প্রবণতা দেখিয়েছে দেশের গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র শহরগুলির অর্থনীতি। পণ্য চাহিদার ক্ষেত্রেও বড় শহরের তুলনায় এই ছোট জনপদ ও গ্রামীণ ভারতে বাণিজ্যিক লেনদেন বেশি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কও জানিয়েছে, এবার কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখে আশা করা যাচ্ছে, আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কিছুটা হলেও তার সুফল পাবে অর্থনীতি। আর সেই কারণেই প্রধানত গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও বেশি চাঙ্গা করতে মরিয়া মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যেই এই ১ লক্ষ কোটি টাকার পরিকাঠামো তহবিল।