বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দুবাই সিলিকন ওয়েসিসের লজিস্টিক ম্যানেজার শেমির জানিয়েছেন, ভাই সাফভান সঙ্গে যেতে না পারায় দুই পরিবার যাতে একসঙ্গে ভারতে ফিরতে পারে, সেই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দুবাই থেকে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান (ফ্লাইট আইএক্স-১৩৪৪) কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, এই খবর পেয়েই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। তারপর যখন শুনলেন, পাইলট ও সহকারী পাইলট সহ অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। কোঝিকোড়ের আশপাশের সব ট্রমা সেন্টারে পাগলের মতো ফোন করে পরিবারের সদস্যদের খোঁজ শুরু করেছিলেন। শেমিরের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলে ছাড়াও ওই ফ্লাইটে ছিল তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে। এত বড় দুর্ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা বেঁচে যাওয়ায় ঈশ্বরকে বারেবারে ধন্যবাদ দিচ্ছেন শেমির।
শেমির মতো ভাগ্যবান আব্দুল মানাফও। ওই বিমানের যাত্রী তালিকায় থাকা তাঁর স্ত্রী হাদিয়া ও সন্তান প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা কোঝিকোড়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলতে পেরেছেন। দুবাইয়ের অপর বাসিন্দা আবদুল্লা জানিয়েছেন, তাঁর শ্যালিকা জেনোবিয়া মহম্মদ আলি ও তাঁর ৪ ও ১৫ বছরের দুই ছেলে ওই বিমানে ছিলেন। বড় ছেলে আজম একজনের মোবাইল থেকে ফোন করেছিল। তারপরই নিশ্চিন্ত হতে পেরেছেন।
এই তিনজনের মতো ভাগ্য এখনও সহায় হয়নি মুনিরের। এখনও তিনি ভ্রাতৃবধূ মানালের সন্ধান পাননি। খালিজ টাইমসকে দুবাইয়ের এই ভারতীয় জানিয়েছেন, বাড়ি ফেরার আনন্দে দারুণ খুশি ছিল মানাল। কিন্তু, দুর্ঘটনার পর তাঁরা পাগলের মতো হেল্পলাইনে চেষ্টা করেও মানালের খোঁজ মেলেনি। কিন্তু এখনই আশা ছাড়তে নারাজ মুনিররা।