বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, সিবিআই চার্জ নেওয়ার একদিন পর থেকেই এই মামলায় নানা ঘটনা সামনে আসতে শুরু করল। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুশান্ত তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী তাঁকে মানসিক রোগীদের হাসপাতালে পাঠানোর ছক কষছে। সূত্রের খবর, জানুয়ারির ২০ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে সুশান্তকে ২৫ বার ফোন করেছিলেন রিয়া। সেসময় সুশান্ত চণ্ডীগড় গিয়েছিলেন। রিয়া তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে ফিরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। সুশান্তের চণ্ডীগড় যাওয়ার কথা তাঁর ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিথানিই রিয়াকে জানিয়েছিলেন। সুশান্ত পরে পরিবারকে এও জানিয়েছিলেন যে, রিয়ার পরিবার তাঁকে মানসিক রোগীদের হাসপাতালে পাঠানোর ছক করেছে। এমনকী তাঁকে মুম্বই ছেড়ে হিমাচলপ্রদেশে থাকার জন্যও রিয়ারা চাপ দিচ্ছে বলে সুশান্ত জানিয়েছিলেন।
সুশান্তের ম্যানেজার দিশা সালিয়েনের আত্মহত্যা নিয়েও আর এক জল্পনা দানা বেঁধেছে। নাম জুড়েছে অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির। যদিও সুশান্ত বা দিশার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না বলে সূরজ এদিন জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি এও বলেন, এখন তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। আর সেই গুজবের উপর ভিত্তি করে সংবাদমাধ্যম খবর করছে। অথচ এই ধরনের তথ্যের কোনও ভিত্তিই থাকে না। নিজেদের অবসর সময় কাটানোর জন্য নেটিজেনরা ইউটিউব এবং ফেসবুকে নানা ধরনের উড়ো খবর পোস্ট করেন। তাঁর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা নারায়ণ রানে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন, ১৪ জুন রাতে সূরজের বাড়িতে এক পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই পার্টির সঙ্গে সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর যোগ থাকতে পারে। রানের সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে এদিন মুখ খোলেন সূরজ। এদিকে দিশার আত্মহত্যা নিয়ে পুলিসি তদন্তে তাঁর পরিবার সন্তুষ্ট। তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যাই করেছে। কিন্তু সুশান্তের সঙ্গে জড়িয়ে সংবাদমাধ্যম যেভাবে তাঁদের মৃত মেয়েকে নিয়ে চর্চা চলছে, তাতে তাঁরা অত্যন্ত মর্মাহত। এতে তাঁদের পরিবারের মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে দিশার বাবা অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে, সুশান্তের আইপিএস জামাইবাবু ও পি সিংয়ের সঙ্গে মুম্বই পুলিসের ডিসিপি পরমজিৎ সিং দাহিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘিরে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। পুলিসি তদন্তের মধ্যেও বিষয়টি সুশান্ত কাণ্ডের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সুশান্তের পরিবারের ক্ষোভ অনেকদিন ধরেই ছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রিয়ার কারণেই সুশান্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। সেজন্যই গত ফেব্রুয়ারিতে স্বয়ং ও পি সিং রিয়ার উপর চাপ সৃষ্টির জন্য দাহিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মৃত্যুর আগে পর্যন্তও যে সুশান্ত স্বাভাবিক ছিলেন, সেকথা ফের উল্লেখ করলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি।