কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, এদিন সারা দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ২৮২ জন। ফলে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৩৬ জন। এই নিয়ে টানা আট দিন দৈনিক ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৪০ হাজার ৬৯৯ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা ভাইরাস। আইসিএমআর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, শুধু বুধবার দেশজুড়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৪৯টি। একদিনে এত সংখ্যক টেস্ট করোনাপর্বে আগে হয়নি। এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে এখনও শীর্ষস্থানে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক। মৃত্যুর বিচারে মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। তারপর রয়েছে কর্ণাটক, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ। তবে, দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাই এই তিন মেট্রো শহরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমছে। একজন করোনা রোগীর থেকে কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে সেটা মাপা হয় ‘আর নম্বর’ তথা এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর দিয়ে। এই হিসেবের মাপকাঠিতেই নির্ণয় করা হয় সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়ল এবং তা কতজনের মধ্যে ছড়াল। সেইমতো দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ের ‘আর নম্বর’ এক পয়েন্টের নীচে নেমে গিয়েছে। একইসঙ্গে, গোটা দেশের এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বরও কমেছে। ১.১৭ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.১৬ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, করোনা চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। কিন্তু এদিন দিল্লি এইমস জানিয়েছে, প্লাজমা থেরাপি কোভিড রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারছে না। এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, প্লাজমা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি। এক অন্তর্বর্তী গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। একদল করোনা রোগীর উপর প্লাজমা থেরাপির পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। আর একদল রোগীর উপর শুধু চলতি ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই মৃত্যুর সংখ্যা সমান।