দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: প্রথাগত এয়ার কুলিং ব্যবস্থা নয়। বরং ‘রিটার্ন এয়ারে’র রি-সার্কুলেশন বন্ধ হয়ে মিলবে ১০০ শতাংশ তাজা বাতাস। ফলে বাজার চলতি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। এমনই নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের আওতায় থাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের (টিইআরআই) যৌথ উদ্যোগে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এসি যন্ত্র থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনও বদ্ধ জায়গায়, যেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ উপস্থিত, সেখানে এসির হাওয়া থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেন সাধারণ মানুষই। এমনকী বাড়িতে এসি চালালেও তার তাপমাত্রা মোটামুটি ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই রেখে দেওয়ার পরামর্শও দিচ্ছে বিভিন্ন মহল। এই সংক্রান্ত একাধিক তত্ত্বের জাঁতাকলে পড়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছে আমজনতার একটি বড় অংশ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক জানাচ্ছে, এই নতুন প্রযুক্তিতে যেমন ঘর বা অফিস ঠান্ডা থাকবে, তেমনই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ারও ভয় থাকবে না। শুধু তাই নয়। লক্ষ্যণীয়ভাবে কমবে বিদ্যুৎ বিলও। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে ‘রেডিয়েন্ট কুলিং’ প্রযুক্তি মেনে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যে যন্ত্র সাধারণ মানুষের বাড়িতে থাকে, অথবা অফিস-কাছারিতে লাগানো হয়, সেখানেই কি কাজ করতে পারবে এই নয়া প্রযুক্তি? দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের পক্ষে মিন্নি শাস্ত্রী বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে একটি আলাদা প্রক্রিয়া। যেসব এসি মেশিন বা এয়ার কুলারের মাধ্যমে ঘর ঠান্ডা হয়, সেখানে এই ব্যবস্থা কাজ করবে না। পৃথকভাবে ওই প্রযুক্তি ইনস্টল করতে হবে। এটি অনেকটা বাড়িঘরের ফলস সিলিংয়ের প্যানেলের মতো। লাগানো সহজ। এবং পুরোটাই চলবে বিদ্যুতের মাধ্যমে।’