কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৫০৯ জন। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৭০৬ জন। অর্থাৎ, আক্রান্ত আর সুস্থতার মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এটা করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ফ্ল্যাট হওয়ার ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থতার হার। মঙ্গলবার যেখানে সুস্থতার হার ছিল ৬৬.৩১ শতাংশ। সেখানে এদিন তা বেড়ে হয়েছে ৬৭.১৯ শতাংশ। অর্থাৎ একদিনে সুস্থতার হার বেড়েছে ০.৮৮ শতাংশ। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে মৃত্যুর হারও। বুধবার মৃত্যুহার কমে হয়েছে ২.০৯ শতাংশ। সুস্থতার হার বৃদ্ধি এবং মৃত্যুহার কমে যাওয়া— করোনা যুদ্ধে এই দুই বিষয় দেশবাসীকে স্বস্তি দিচ্ছে।
দেশে এই মুহূর্তে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৫৪। বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন ৮৫৭ জন। অর্থাৎ, মোট মৃত্যু ৩৯ হাজার ৭৯৫। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ২১৫ জন। অর্থাৎ মোট সক্রিয় আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৮৬ হজার ২৪৪ জন। শতাংশের বিচারে যা মোট আক্রান্তের ৩০.৭২ শতাংশ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে এখনও শীর্ষস্থানে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৫৬ জন। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক। তবে জুলাই মাসজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে রাজধানী দিল্লি। ষষ্ঠস্থানে থাকা উত্তরপ্রদেশে এদিন সংক্রামিতের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যুর বিচারে মহারাষ্ট্রের (১৬ হাজার ১৪২ জন) পরে রয়েছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। গত মাসে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কর্ণাটক।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকালে প্রাণ হারিয়েছেন শিবসেনার প্রাক্তন বিধায়ক অনিল রাথোড়। কয়েকদিন আগেই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তবে, এদিন করোনাকে হারিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। গত ২৫ জুলাই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ভোপালের চিরায়ু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
দেশের সংক্রমণের যে চালচিত্র, তাতে দেখা যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত ছোট রাজ্যগুলিতে বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। যেমন, গোয়াতে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ত্রিপুরাতেও সংক্রামিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার। সেই তালিকায় রয়েছে পুদুচেরি (৪ হাজারেও বেশি), মণিপুর (৩ হাজার), নাগাল্যান্ড (প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন) এবং দমন ও দিউ (১ হাজার ৩০০)। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে সংক্রমণও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নতুন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে এখানেই।