বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিহার পুলিসের কাছে রিয়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। ওই মামলা বিহার থেকে মুম্বইয়ে স্থানান্তরের জন্য রিয়া সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। এদিন সেই আবেদনেরই শুনানি ছিল। আগামী সপ্তাহে ফের এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। মামলার তদন্তে মুম্বই পুলিস কতদূর এগিয়েছে, সেই রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই জল অনেক দূর গড়িয়েছে। এই অবস্থায় মুম্বইয়ের ডিসিপি পরমজিৎ সিং দাহিয়া গুরুতর এক বিষয় সামনে আনলেন। এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাহিয়া বলেন, সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য রিয়াকে চাপ দিতে বলেছিলেন সুশান্তের জামাইবাবু ও পি সিং। ওই আইপিএস আবার হরিয়ানা পুলিসের শীর্ষস্থানীয় অফিসার। গত ফেব্রুয়ারিতে দাহিয়াকে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ করে ওপি সিং অনুরোধ করেন যে, থানায় ডেকে এনে রিয়াকে শাসাতে হবে। যদিও অভিনেত্রীকে যে অকারণে থানায় ডেকে এনে চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব নয় একথা দাহিয়া জানিয়ে দিয়েছিলেন। যদি রিয়াকে নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে তা লিখিতভাবে দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছিলেন দাহিয়া। কিন্তু তারপর থেকে ও পি সিংয়ের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অবশেষে সুশান্ত মারা যাওয়ার পর অভিযোগ উঠল যে, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলে নিয়েছিলেন রিয়া।
সুশান্ত মামলার তদন্ত নিয়ে মহারাষ্ট্র এবং বিহার পুলিসের মধ্যে লাগাতার টানাপোড়েন চলছে। এদিন বিহার পুলিস দাবি করেছে, রিয়া গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি বিহারের যে পুলিস অফিসারকে মুম্বইয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, তাঁকেও ছেড়ে দিতে বলেছে। প্রসঙ্গত, এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তদন্তের জন্য মহারাষ্ট্রে আসার পর যেভাবে বিহারের পুলিস অফিসারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল, সেটা পুলিস বিভাগের কাছে ভুল বার্তা দেবে।-ফাইল চিত্র