অযোধ্যা: পুরোহিত, মহন্তদের তোড়জোড় তো পুজোর একটা দিক। এর অন্য দিকে রয়েছেন মন্দিরের নির্মাণকর্মীরা। ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের পরেই পুরোদমে রামমন্দির তৈরির কাজ চালু হয়ে যাওয়ার কথা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী তিন বছরের মধ্যে তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্দিরের আর্কিটেক্ট। অন্যদিকে নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধায়ক অনুভাই সোমপুরা জানিয়েছেন রামমন্দিরের গঠনের খুঁটিনাটি। তাঁর দাবি, প্রসিদ্ধ নাগারা শিল্পরীতি মেনে গড়ে তোলা হচ্ছে মন্দিরটি। বিপুলসংখ্যক ভক্তদের কথা মাথায় রেখে দুইয়ের বদলে পাঁচটি গম্বুজ গাঁথা হতে পারে। মন্দির তৈরিতে আগাগোড়া ব্যবহার করা হবে পাথর, তামা, কাঠ ও সাদা সিমেন্ট। ইতিমধ্যে রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে পাথরের চাঁই। ড্রিলিং মেশিনের সাহায্যে সেগুলি খণ্ড করার কাজ জলদি শুরু হবে। লোহার ছিঁটেফোঁটা আঁচও রামমন্দিরের গায়ে পড়বে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন হনুমানগড়ি মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক মহন্ত রাজু দাস। তাঁর যুক্তি, ‘ট্রাস্টের দাবি পুরোপুরি ঠিক। আগাপাশতলা পাথর দিয়ে মন্দির বানালে তা টেঁকসই হয়। ১১৬৪ সালে হনুমান গারহি মন্দির পুরোদস্তুর পাথর গেঁথে তৈরি হয়েছিল। অথচ এখনও তার আগে এতটুকু ফাটল ধরেনি।’ মন্দিরের কাঠামোয় পাথরের রমরমা হলেও ভিতে বসানো হবে ৪০ কেজি রুপোর পাত। তার সঙ্গে জুড়বে সোনা ও তামার পরতও। মন্দির বোর্ডের পক্ষ থেকে একথা আগেই জানানো হয়েছে।
রামমন্দিরের জন্য রুপোর ইট দান করলেন বিজেপি কর্মীরা। ছবি: পিটিআই