নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্যবসা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে চালু হয়েছে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ প্রকল্প। ব্যবসা করতে গেলে যে সমস্ত সরকারি অনুমতি বা ছাড়পত্রের দরকার হয়, তার জটিলতা কাটাতে সব ক’টি রাজ্য এগিয়ে এসেছে। রাজ্যগুলির প্রচেষ্টাতেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের তালিকায় প্রথম সারিতে উঠে এসেছে ভারত। কিন্তু একেবারে তৃণমূল স্তরে থাকা ব্যবসায়ীরা কি আদৌ সেই সুবিধা পাচ্ছেন? প্রশ্ন তুলছেন ব্যবসায়ীরাই। বিশেষত দোকানের মালিকরা বলছেন, মিউনিসিপ্যালিটি বা আঞ্চলিক প্রশাসনের তরফে যে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়, তার সমস্যা অনেক। দুর্নীতিও অনেক। অথচ শুধু যে ট্রেড লাইসেন্স নিলেই চলে যায়, তা নয়। সঙ্গে নিতে হয় আরও বেশ কিছু অনুমতি। ব্যবসায়ীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে এমন একটি প্রকল্প চালু করুক, যাতে দেশের সমস্ত ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেন। তা যদি অনলাইনে হয় তাহলে স্বচ্ছতা থাকবে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি জানাল দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মন্ডল।
সংগঠনের জাতীয় স্তরের জেনারেল সেক্রেটারি এ কে বনসাল বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে ট্রেড লাইসেন্সের যে নিয়ম রয়েছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ জটিল। তার জন্য কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপদেষ্টা নিয়োগও করতে হয়। এছাড়াও একজন অতি সাধারণ দোকানদারের ক্ষেত্রে বছরে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ করতে হয় নানাভাবে, যার সামান্যই যায় সরকারি ভাঁড়ারে। এই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে আসুক সরকার।
কী বলছেন এরাজ্যের ব্যবসায়ীরা? কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের সভাপতি সুশীল পোদ্দারের কথায়, পশ্চিমবঙ্গে লাইসেন্সের ক্ষেত্রে যে বিরাট জটিলতা আছে, তা নয়। তার খরচও আহামরি নয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের একাধিকভাবে সরকারি ক্ষেত্রে টাকা মেটাতে হয়। সেগুলো যদি এক জায়গায় করা যায়, তাহলে ব্যবসায়ীরা অনেক উপকার পাবেন।