মুম্বই: মরার উপর উপর খাঁড়ার ঘা। প্রাণঘাতী ভাইরাসের হামলায় এমনিতেই নাজেহাল মুম্বইবাসী। তার উপর সোমবার থেকে শুরু হওয়া অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিঘ্নিত রেল এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নার্স এবং মেডিক্যাল কর্মীরা। প্রবল বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে পৌঁছতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। সোমবার রাত থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে একপ্রকার বানভাসি দশা বাণিজ্য নগরীর। মঙ্গলবার মুম্বই ও শহরতলির সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করে দেয় সরকার। এরইমধ্যে আগামী দু'দিন আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সর্তকতা জারি করেছে। একই সঙ্গে জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অফিস। গত ৪৮ ঘণ্টায় মুম্বই এবং শহরতলি এলাকায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের অন্তত ২৬টি জায়গা জলমগ্ন। কোথাও হাঁটু সমান জল, কোথাও এক বুক জল জমে গিয়েছে। খোলা ড্রেনে পড়ে গিয়ে এক মহিলা ও তাঁর দুই কন্যা।
জলের তলায় গোরেগাঁও, সিয়ন রোড, দাদার রোড, কিং সার্কেল, শিবাজি চক ইত্যাদি এলাকা। এর উপর কান্দিভালি শহরতলি এলাকায় ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস জাতীয় সড়কে ধস নামায় যান চলাচল ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কোন হতাহতের খবর আপাতত নেই। হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্যই কিছু লোকাল ট্রেন চলছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে সেন্ট্রাল রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক শিবাজী সুতার সোশ্যাল সাইটে জানিয়েছেন, ওয়াদালা এবং পারেল শহরতলি এলাকায় জল জমে যাওয়ায় মেইন লাইন এবং হারবার লাইন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। অবশ্য ভাসি, পানভেল এবং থানে-কল্যাণের মধ্যে পরিষেবা চালু আছে।