পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিনের ধারা মেনে সোমবারও সারা দেশে নতুন করে ৫২ হাজার ৯৭২ জন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ লক্ষ ৩ হাজার ৬৯৫ জন। এদিন সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৭১ জন। মোট মৃত্যু ৩৮ হাজার ১৩৫। তবে আশার কথা, প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। এদিনও করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৭৪ জন। অর্থাৎ, দেশে সংক্রমণ থেকে মোট সুস্থের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮৬ হাজার ২০৩। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৫.৭৭ শতাংশ। এই মুহূর্তে গোটা দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৫৭ জন। একইসঙ্গে দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে প্রতিদিনই কমছে মৃত্যুহার। রবিবার যেখানে করোনায় মৃত্যুহার ছিল ২.১৩ শতাংশ, সেখানে সোমবার তা কমে হয়েছে ২.১১ শতাংশ।
সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষাও। দেশের শীর্ষ মেডিক্যাল গবেষণা সংস্থা আইসিএমআর তার রিপোর্টে জানিয়েছে, মোট নমুনা পরীক্ষা ইতিমধ্যে দু’কোটি ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র রবিবার ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি ও কর্ণাটক।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন পি চিদম্বরম পুত্র কার্তি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃদু উপসর্গ থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শমতো হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের করোনা প্রোটোকল মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ রবিবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সংস্পর্শে আসায় সোমবার আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
অন্যদিকে, হাসপাতাল থেকে ট্যুইট করে অনুগামী, সহকর্মীদের আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে ইয়েদুরাপ্পাকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘গতকাল এবং আজ সকালে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বলেছেন, চিন্তার কিছু নেই। আমি খুব দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাব। যত তাড়াতাড়ি ছাড়া পাব, তত তাড়াতাড়ি আমি আমার কাজ শুরু করতে পারব।’ তবে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শারীরিক পরিস্থিতি। তিন দিন ছাড়া ছাড়া তাঁর কোভিড পরীক্ষা হলেও শিবরাজের করোনা রিপোর্ট এখনও পজিটিভ। উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর রিপোর্ট পরপর পজিটিভ আসায় উদ্বিগ্ন দল ও সরকারের নেতামন্ত্রীরা। গত ২৫ জুলাই শিবরাজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।