পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অর্থাৎ কোনও একটি উৎপাদন ইউনিট যত বেশি উৎপাদন করবে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সেই সংস্থাকে কর ও বিপণন ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ শনিবার বলেছেন, এই প্রকল্পে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বৃহৎ ২২টি সংস্থা এগিয়ে এসেছে তালিকাভুক্ত হতে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া আবেদন অনুযায়ী বলা যায়, আগামী ৫ বছরে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল উৎপাদন হবে ভারতে। আর ৭ লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানি হবে। মন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বহু দেশীয় মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স উপকরণ প্রস্তুতকারক সংস্থাও এগিয়ে এসেছে। এই প্রকল্প নতুন করে ১১ হাজার কোটি টাকার লগ্নিও নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আত্মনির্ভর প্যাকেজের অন্তর্গত এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রধানত বিদেশ থেকে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি কমানো। ১৫ হাজার টাকা কিংবা তার চেয়ে কম দামের মোবাইল উৎপাদনে জোর দেওয়াই এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। ওই দামের মোবাইল বিক্রি করেই সবথেকে বেশি বাণিজ্য করে চীন। সেই প্রবণতা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা ভারতে ২০২৫ সালের মধ্যে অনেক বেড়ে যাবে। সরাসরি ইলেকট্রনিক্স, যন্ত্রাংশ ও মোবাইল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। আর পরোক্ষে হবে ৯ লক্ষ। আপাতত এই আশাই করছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।
কয়েকদিন আগেই রঙিন টিভি আমদানির উপর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। তৈরি করা টিভি আমদানিতে এতদিন কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এখন বলা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রকের থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই নিয়ন্ত্রণের কারণেও সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে চীন ও ভিয়েতনাম। যাতে দেশীয়ভাবে আরও বেশি টিভি উৎপাদন হতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের আশা সেক্ষেত্রেও বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান।