বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এদিকে, শুক্রবারই তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। শিক্ষা যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয় হলেও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে, সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই নীতি গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংসদে এটাকে পাশ করানো হল না কেন, এই প্রশ্নও তোলেন। পার্থবাবুর বক্তব্য এই শিক্ষানীতি আসলে বিদেশের শিক্ষানীতিরই অন্ধ অনুকরণ। তিনি সাফ জানান, নয়া শিক্ষানীতির অন্তত ১০-১২টি পয়েন্টে রাজ্যের তীব্র আপত্তি রয়েছে।
এদিকে, নয়া শিক্ষা নীতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল, সরকারি স্তরে প্রাথমিক থেকেই ইংরাজি মাধ্যমে পড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে বহু স্কুলে। কেরল থেকে দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ। কর্নাটক কিংবা তামিলনাড়ু। এরকম সিংহভাগ রাজ্যে বিশেষ কিছু সরকারি স্কুল চিহ্নিত করে সেখানে পৃথকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে ইংরাজি মাধ্যমে শিক্ষাদান। প্রধানত বেসরকারি স্কুলগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতেই কিছু কিছু রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই কারণেই পডুয়া টানতে বিভিন্ন রাজ্য পৃথকভাবে সরকারি স্কুলেই ইংরাজি মাধ্যম চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, ইংরাজি মাধ্যমে পড়তে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা যাতে সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে পারে। কোথাও সম্পূর্ণ নতুন করে ইংরাজি মাধ্যম স্কুল চালু হয়েছে। এই অবস্থায় সদ্য ঘোষিত শিক্ষা নীতিতে যেহেতু বলা হয়েছে প্রাথমিক স্তরে তো বটেই, সম্ভব হলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা অথবা আঞ্চলিক তথা স্থানীয় ভাষায় শিক্ষাদান করতে হবে। তাহলে কি এই ইংরাজি মাধ্যমের সেকশন বা পৃথক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে? নাকি সেগুলিতে কেন্দ্রীয় নীতি মেনে মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষাতেই পড়ানো শুরু হবে? এই বিষয়েই ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যগুলি কেন্দ্রকে চিঠি লিখছে।