নয়াদিল্লি: পিএম কেয়ার্স ফান্ড একটি সরকারি তহবিল। করোনা মোকাবিলায় আর্থিক অনুদান গ্রহণ করতে এটি তৈরি করা হয়েছে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সোমবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তার থেকে এক পয়সাও এই ফান্ডে নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি পিএম কেয়ার্সের সমস্ত অর্থ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে ট্রান্সফার করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এদিন আদালতে সেই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে তিনি বলেন, পিএম কেয়ার্স ফান্ড অনুদানের ভিত্তিতে তৈরি। অন্যদিকে, বাজেটে বরাদ্দের ভিত্তিতে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল তৈরি হয়। পিএম কেয়ার্স ফান্ড সরকারি তহবিল। এতে যে কেউ অনুদান দিতে পারবে। এই তহবিল গড়ার জন্য জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। এতে যা অনুদান আসবে, তাই খরচ করা হবে। বায়োলজিক্যাল ডিজাস্টারের মোকাবিলা করতে ২০১৯ সাল থেকেই একটি জাতীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। একইসঙ্গে তুষার মেহতা জানিয়েছেন, এই ফান্ড তৈরি করতে কোনও আইন অমান্য করা হয়নি।
অন্যদিকে, মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে বলেন, ‘পিএম কেয়ার্স ফান্ড তৈরি করতে গিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ভাঙার অভিযোগ উঠছে।’ ক্যাগ কেন এর অডিট করতে পারবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দুষ্যন্ত। সেই সঙ্গে, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের বৈধতা নিয়েও আদালতে সরব হয়েছেন প্রবীণ ওই আইনজীবী। অপরদিকে, শুনানিতে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতে বলেন, সিএসআর অনুদানের সমস্ত সুবিধা পিএম কেয়ার্স ফান্ডের জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে এই সংক্রান্ত কোনও সুবিধা নেই।