বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
করোনা পরীক্ষার হার বাড়াতে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে নতুন ল্যাবরেটরি চালু করতে চলেছে আইসিএমআর। আজ বিকেলে সেগুলি উদ্বোধনের সময়ই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই সপ্তাহে দু’দিন লকডাউন শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশেও একইভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে সপ্তাহান্তে, শনি ও রবিবার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারেও আগেই ঘোষণা করেছেন, লকডাউনের প্রক্রিয়া থেকে পুরোপুরি সরে আসবে না রাজ্য।
আগামী বুধবার ফের বাংলায় লকডাউন হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত রয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আগেই নবান্নে পরবর্তী দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি সপ্তাহে শনিবার ঈদ। ফলে বুধবারের পর কবে লকডাউন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আগামী ৪-৫ আগস্টের মধ্যে রাজ্যে প্রতিদিন ২৫ হাজার করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো, চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। দিল্লি ও মুম্বইতে সংক্রমণ কীভাবে কমেছে, তা নিয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে সরকার। গত দু’দিনের লকডাউনে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়েছে কি না, সেই রিপোর্টও আজ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে পারে স্বাস্থ্যদপ্তর। পাশাপাশি, হপ্তা-মাঝে কাজের দিনের পরিবর্তে শনি ও রবিবার লকডাউন করা যায় কি না, তেমন ভাবনাচিন্তাও চলছে নবান্নের শীর্ষ মহলে। যদিও অনেক কিছুই নির্ভর করবে আজ প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, তার উপর।
সরকারি সূত্রের খবর, আনলক ৩ নিয়ে রাজ্যগুলির উপর কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কেন্দ্র একটি গাইডলাইন তৈরি করবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন শহরে তা কার্যকর করবে রাজ্যগুলি। তবে লকডাউন নয়, করোনা পরীক্ষার উপর জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। আরও বেশি করে ‘টেস্ট, ট্রেস, ট্র্যাক’ পদ্ধতির পক্ষে সওয়াল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘করোনার সংক্রমণের ভয়ঙ্কর বিপদ শুরুতে যেমন ছিল, আজও তেমনই আছে। সুতরাং সামান্য শৈথিল্যের প্রশ্নই নেই।’ মাস্ক এক মুহূর্তের জন্যও মুখ থেকে সরানো যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘যখনই মনে হবে মাস্ক মুখে রাখা যাচ্ছে না, তখনই স্মরণ করবেন আমাদের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা-যোদ্ধারা কীভাবে সারাদিন ধরে মাস্ক পরে থাকছেন।’ বস্তুত সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরাই সবথেকে বড় হাতিয়ার করোনা মোকাবিলায়।