গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজস্থানে এখনকার সমীকরণ কীরকম? বিজেপির আছে ৭২ বিধায়ক। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১০১। তাই শচীন সহ ১৯ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসি যাতে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করাই গেহলটের কাছে চ্যালেঞ্জ। তাই শচীন এবং তাঁর দলবলের পদ খারিজ করার জন্য বিধানসভার স্পিকার সি পি যোশির কাছে দরবার করেছে কংগ্রেস।
তবে দলে থাকলেও পাইলটকে কোণঠাসা হয়েই থাকতে হবে বলেই বুঝিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রদেশের শীর্ষ পদ থেকেও শচীনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার শচীনের নিয়োগ করা প্রদেশ কংগ্রেসের যাবতীয় কমিটিও ভেঙে দেওয়া হল। শচীনের হম্বিতম্বি আপাতত কাজে দিল না দেখে নাম না করে পাইলটকে কার্যত ‘সোনার পাথরবাটি’ তকমা দিলেন গেহলট। বললেন, ‘সোনার ছুরি দিয়ে খুন করা যায় না।’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘ভালো ইংরেজি বলতে পারলে আর দেখতে-শুনতে ভালো হলেই হয় না। মনের মধ্যে কী আছে সেটাই আসল।’
রাজস্থানে সরকার ফেলতে পাইলট বিজেপির সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখেছিল বলেও ইঙ্গিত করেছেন গেহলট। যদিও পাইলট তা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর নেই। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর কাছে আমার ভুল ইমেজ তুলে ধরতেই কংগ্রেসের কেউ কেউ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলছে।’ এও জানিয়েছেন, ‘অনেক খেটেখুটে রাজস্থানে কংগ্রেসকে জিতিয়েছি। সরকারে আসার ক্ষেত্রে আমারও অবদান রয়েছে।’ নিজের বক্তব্য এবং অবস্থান স্পষ্ট করতে বুধবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে ঠিক করেছিলেন শচীন। কিন্তু তা বাতিল করে দেন। আর শচীন তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতেই কংগ্রেসের বার্তা, তাহলে ভুল স্বীকার করে ফিরে আসুন। হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের আতিথেয়তায় কেন বসে আছেন?
এআইসিসি সূত্রে খবর, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা তাঁকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। সেই মতো শচীনও আপাতত ধীরে চলার অবস্থান নিয়েছেন। তাছাড়া বিজেপিতে গেলেও তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কঠিন। ওখানে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের মতো মুখ রয়েছে। গুটিকয় বিধায়ক আর গুজ্জর সমর্থনে নিজে দল করলেও ভবিষ্যৎ মসৃণ নয়। কারণ, রাজস্থানে দুই দলের রাজনৈতিক সূত্রই এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত। কংগ্রেস ও বিজেপি। তাই আপাতত অঙ্ক কষেই শচীন চুপ থাকছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরার পরিকল্পনা করলেও শচীনের শান্ত অবস্থানে হতাশ হয়েছে বিজেপি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি অশোক গেহলট। পিটিআই