তিরুবনন্তপুরম: কেরলের তিরুবন্তপুরমে জনতার রোষের মুখে এবার চিকিৎসক সহ একদল স্বাস্থ্যকর্মী। ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে কাজ করা কোভিড যুদ্ধের সেনানীদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাল একদল বাসিন্দা। সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাস্ক না পরে ভিড় জমাল সকলে। উড়ে এল গালিগালাজ। এমনকী গাড়ির কাঁচ নামিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে গেলে ছেটানো হল থুতুও। সঙ্গে হুমকি, ‘যদি আমাদের করোনা হয়ে থাকে, তাহলে আপনাদেরও হওয়া উচিত।’ গোটা ঘটনার সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য কাজে যোগ দেওয়া এক তরুণী চিকিৎসক। দশ দিন আগে ডাক্তারি প্র্যাকটিশ শুরু করেছেন তিনি। শুক্রবার একটি কন্টেইনমেন্ট জোনে নমুনা সংগ্রহের কাজে গেলে তাঁকে এভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। ওই তরুণী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ড্রাইভার সমেত সকলকে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণার পর অভিযুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়। দরকারি জিনস কিনতে অনেকেই বাইরে বেরতে পারছিল না। পাশাপাশি পুলিসের তরফ থেকেও সাহায্য না মেলার নিয়মিত অভিযোগ আসছিল। যার জেরে ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু করেছিল। শুক্রবার তাই তারা দলবেঁধে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিশানা করে।
ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা তরুণী চিকিৎসককে ডেকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিক্ষোভকারী বাসিন্দাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা এই দুর্যোগের দিনে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে যদি গাড়ি আটকে হেনস্তা করা হয়, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। চিকিৎসকরা নিগৃহীত হলে চিকিৎসা করবে কে?’