কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
গতকালই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অভিযোগ করেছিলেন কয়েক কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে সরকার ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। বিধায়ক কেনাবেচার তদন্তভারও পুলিসকে দেওয়া হয়। এদিন সেই ঘটনাতেই নোটিস দেওয়া হয় রাজস্থান রাজনীতিতে গেহলটের বিপরীত শিবিরে থাকা শচীন পাইলটকে। এতেই আগুনে ঘি পড়ে। ক্ষুব্ধ ও অপমানিত শচীন চলে আসেন দিল্লিতে। টেলিফোনে তিনি কথা বলেন রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর বিশ্বস্ত রাজনৈতিক কৌশলী আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে। ১০ জনপথে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে ‘সময়’ চেয়েছেন পাইলট। যদিও করোনার জন্য সোনিয়া গান্ধী কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ‘বিষয়টি দেখছেন’ বলে শচীনকে আশ্বাস দিয়েছে।
যদিও আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না পাইলট। তাই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। শচীন একা নন। সঙ্গে এসেছেন অনুগামী কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়কও। গুরুগ্রামের তারকাখচিত হোটেলে তাঁরা আস্তানা গেড়েছেন। পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে ট্যুইট করেছেন শচীনের একসময়কার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। খানিক এমনই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। এদিন তাঁর ট্যুইট, আমার পূর্বতন সহকর্মীকে দেখে খারাপ লাগছে। শচীন পাইলটকেও কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁকে হয়রান করছেন। এটা প্রমাণ করছে, কংগ্রেসে দক্ষতা ও প্রতিভার কোনও মূল্যই নেই। সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেওছেন শচীন। শোনা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ১৬ কংগ্রেস ও তিন নির্দল বিধায়ক। কংগ্রেস অবশ্য বসে নেই। একদিকে, সোনিয়ার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পৌঁছে গিয়েছে জয়পুর। সোমবার বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। শচীনকেও থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, বিবৃতি দিয়ে রাজস্থান কংগ্রেসের প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন না। সূত্রের খবর, সোমবার বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে পাইলট দেখা করতে পারেন। এর আগে রবিবার রাতে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অন্যদিকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে শচীন পাইলটকে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভুল বোঝাবুঝি মিটে যাবে। শচীনকে কংগ্রেস নেতৃত্ব বোঝানোর চেষ্টা করছে, নোটিস মুখ্যমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছে। তাহলে, অপমানের প্রশ্ন কোথায়? বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে অশোক গেহলটকেও। তাঁকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদে এনে মেয়াদের বাকি সময় শচীনকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। কিন্তু দল এভাবে আদৌ টিকবে কি না, তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকে। কপিল সিবাল ট্যুইট করে বলেছেন, ‘আমাদের দলের জন্য চিন্তিত। আস্তাবল থেকে ঘোড়া পালালে কি ঘুম ভাঙবে?’ ওদিকে মধ্যপ্রদেশে ফের এক কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।