কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অনেক সময়ই প্রবীণ মানুষদের পেনশনের পরিমাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিও এর পরিমাণ বৃদ্ধির আর্জি জানায়। অভিযোগ, এই মুহূর্তের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পেনশন দেওয়া হয় না প্রবীণদের। বিশেষ করে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) ন্যূনতম এক হাজার টাকা মাসিক পেনশন নিয়েও বিতর্ক দীর্ঘদিনের। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এও সুপারিশ করেছে, একমাত্র ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের (ডিবিটি) মাধ্যমেই যাতে পেনশন পাওয়া যায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এমনকী ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড সরাসরি গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা একেবারেই শয্যাশায়ী, তাঁদের পেনশন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ব্যাঙ্কের করা উচিত বলেও সুপারিশ করেছে সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক। জীবন প্রমাণ পত্র যাতে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) এবং পেনশন প্রদানকারী ব্যাঙ্কের শাখার সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখা যায়, তারও ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। অর্থমন্ত্রক এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক ও ডাক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যানে। অবসর গ্রহণের পরেই যাতে দ্রুত পেনশন চালু হয়, তা সুনিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে মন্ত্রক। প্রবীণ মানুষেরা যাতে নিজেদের মধ্যে এককাট্টা থাকতে পারেন, সেই লক্ষ্যে প্রতিটি রাজ্য, জেলা এবং ডিভিশন স্তরে ‘বৃদ্ধ সঙ্ঘ’ খোলারও সুপারিশ করেছে সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক।