মুম্বই: #সিবিআইএনকোয়ারিফরসুশান্ত। এটাই এখন যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং। নামের সঙ্গে পদবি বা পরিবারের ভার নেই... এমন এক অভিনেতার মৃত্যু আর কতদিন... এই ভাবনার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। একটা করে দিন গড়াচ্ছে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তাপ। ভারতবাসী ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, কোথাও একটা গণ্ডগোল আছে। তদন্ত যে পথে এগচ্ছে, তা মানতে পারছেন না অনেকেই। তাই সিবিআইকে চাই। এই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপি সাংসদ তিনি। রাজনীতির নিঃশব্দ প্রবেশ। শুধু কি তাই? সাধারণের ইস্যুতে মামলা করে তাকে শিরোনামে নিয়ে আসায় সিদ্ধহস্ত এক ব্যক্তি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। আর তাই নড়েচড়ে বসেছেন নেটিজেনরা... সুশান্তের অনুরাগীরা। কৌতূহলের পারদ চড়ছে... এবার কী হয়! মাস ঘুরতে চলল। তদন্তভার এখনও মুম্বই পুলিসের হাতে। ইতিমধ্যে তারা সুশান্ত-ঘনিষ্ঠ ৩০ জন ব্যক্তির জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। কয়েকদিন আগে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নোটিস যায় যশরাজ ফিল্মস ও প্রবাসী পরিচালক শেখর কাপুরের কাছেও। তাঁদের জবাব ফাইলবন্দি করেছে পুলিস। টানা ন’ঘণ্টা জেরা হয়ে গিয়েছে সুশান্তের বান্ধবী তথা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীরও। এতকিছুর পরও তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ চাপা পড়েনি। এমন একটা পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছেন বিজেপি এমপি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন তিনি। সেই আইনজীবী, অর্থাৎ ইস্করণ ভাণ্ডারী একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকও। শুক্রবার সুব্রহ্মণ্যম ট্যুইট করেন, ‘আমি ইস্করণকে সুশান্তের মৃত্যুর যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে দেখার অনুরোধ করেছি। কেসটি আদৌ সিবিআই তদন্তের উপযুক্ত কি না, তা জানাতে বলেছি।’ পরের ট্যুইটে কিছুটা খোলসা করে স্বামী লেখেন, ‘আর্টিকল ২১ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ও ৩০৮ ধারা দু’টি তদন্তে প্রযোজ্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআইয়ের হাতে গেলে ধাপে ধাপে ন্যায়বিচারের কাজ শুরু হবে বলেও এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আইনজীবী ইস্করণ অকাট্য তথ্যের খোঁজে জনতার দরবারে হাত পেতেছেন। শুক্রবার ট্যুইটার লাইভে এসে তিনি আবেদন করেছেন, সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক এবং বাস্তব ভিত্তি রয়েছে, এমন তথ্য যেন তাঁকে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তদন্তের নকশা তৈরির কাজ আগাম শুরু করা যাবে।
এর আগে বিজেপি সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারিও জোর গলায় সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুব্রহ্মণ্যম যেভাবে একধাপ এগিয়ে থেকে সুর চড়িয়েছেন, তাতে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া আগামী দিনে অন্য মোড় নিতে চলেছে বলেই অনুমান।