বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ১৩৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫১২ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬২.৪২ শতাংশ। মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৮৫-তে। সেইসঙ্গে মৃত্যুর হার কমে হয়েছে ২.৭২ শতাংশ। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। গত মাসে এই হার ছিল ২.৮২ শতাংশ। অর্থাৎ গত ৩০ দিনে মৃত্যুহার কমেছে ০.১০ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের থেকে অনেক কম। অন্যদিকে, ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার জাতীয় গড় সুস্থতার হারের তুলনায় অনেক বেশি। দেশে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ। সুস্থতার হার বাড়তেই দিল্লিতে সংক্রমণে লাগাম পরানো গিয়েছে।
এছাড়া এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, দেশে করোনায় মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে ৮৫ শতাংশেরই বয়স ৪৫ বছরের বেশি। পাশাপাশি, ৬০ বছর বয়সের বেশি যে সব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের মৃত্যুর কারণ করোনা। ৬০ থেকে ৭৪ বছর বয়সিদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ মানুষের করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আবার ৭৫ বছর বয়সি মানুষদের মধ্যে করোনার সংক্রমণে ১৪ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। ১৫-৩০ বছরের কম বয়সি মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ। আর ১৪ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ।
এদিকে, সংক্রমণে রাশ টানতে মহারাষ্ট্রের পুনে ও পিমরি-চিঞ্চওয়াডে উদ্ধব থ্যাকারে সরকার ১০ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে। তবে দুধের দোকান, ওষুধ, ডাক্তারের ক্লিনিক সহ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলিকে এই লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে নতুন করে ২৬ জন বিএসএফ জওয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।