কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে, ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৯৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৭ জন। মোট মৃত্যু ২১ হাজার ১২৯ জন। কমছে মৃত্যুহার। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৪৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৭৭ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬২.০৮ শতাংশ। মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৮৯ জন। দেশে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ।
এদিন করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। তাঁরা ফের জানিয়েছেন, ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। কোনও কোনও অঞ্চলে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হলেও সামগ্রিকভাবে সারা দেশে সামাজিক সংক্রমণ হয়নি। তবে এ পর্যন্ত সারা দেশে যত জন সংক্রামিত হয়েছেন, তার ৯০ শতাংশ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা ও কর্নাটকের বাসিন্দা। আর মোট মৃত্যুর ৮৬ শতাংশ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
এদিকে তামিলনাড়ু পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ানক হয়ে উঠেছে। সংক্রমণের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল সেখানে যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পদস্ত আধিকারিকরা রাজধানী চেন্নাইয়ের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। বৈঠক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। একইভাবে রাজধানী বেঙ্গালুরুতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শহরকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে এক একটি মন্ত্রীকে সেই জোনগুলির দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
আবার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কেরলের নয়া করোনা ক্লাস্টারে পরিণত হয়েছে তিরুবনন্তপুরমের পুঁথুরা গ্রাম। এখানে ‹সুপার স্প্রেডারে›র সংখ্যা বাড়তেই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। একজন সুপার স্প্রেডার ছ›জনের বেশি ব্যক্তিকে সংক্রামিত করছেন। যে সমস্ত সুপার স্প্রেডারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই মাছ ব্যবসায়ী। তাঁরা তামিলনাড়ুতে নিত্য যাতায়াত করেন এবং স্থানীয় কুমারীচন্দা বাজারে মাছ বিক্রি করেন। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে যে সমস্ত করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই হয় পুঁথুরা গ্রামের বাসিন্দা, নয়তো কুমারীচন্দা বাজারের সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে। আর তাই রাস্তায় কমান্ডো, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিস নামিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, অসমে করোনা পরিস্থিতি বেলাগাম হতেই এদিন সন্ধ্যা থেকে সোনেওয়াল সরকার গোলাঘাট শহরে কঠোর লকডাউন চালু করেছে। আগামী আটদিন এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে। প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে দুই বিএসএফ কর্মীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।