পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজে পশ্চিমবঙ্গে এক মাসে প্রায় ৩১ লক্ষ রেশনকার্ডহীন পরিযায়ী শ্রমিক বিনামূল্যে রেশন পেয়েছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাসোয়ান বলেন, ‘এক মাসে বাংলায় আনুমানিক ৬০ লক্ষ ১৮ হাজার রেশনকার্ডহীন নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য মাত্র ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০০ জনকে তা বিলি করেছে। তাই অবশিষ্ট রেশন আগস্ট মাসের মধ্যে পরিযায়ীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না করলে, যে রাজ্যে চাহিদা বেশি সেখানে ওই খাদ্যশস্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
দেশের মধ্যে বিহারে সবচেয়ে বেশি রেশন কার্ডহীন পরিযায়ী শ্রমিকরা বিনামূল্যে চাল-গম পেয়েছেন। প্রায় ৮৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৭২ জন এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজে গোটা দেশে ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য খাদ্যশস্য বরাদ্দ হলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষ এই রেশন পেয়েছে। প্রকল্পে মোট ৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ হলেও রাজ্যগুলি খরচ করেছে মাত্র ২ লক্ষ ৩২ হাজার মেট্রিক টন।
অন্যদিকে, এবার থেকে অনলাইনে কোনও সামগ্রী বিক্রি করলে তা কোন দেশে তৈরি, উল্লেখ করতে হবে উৎপাদক সংস্থাকে। মন্ত্রী জানিয়েছে, পণ্যটি কারা তৈরি করেছে, কারাই বা প্যাক করছে, কে আমদানি করছে— সবটাই স্পষ্ট করে জানাতে হবে। কোন তারিখে তৈরি হয়েছে, কবে আমদানি হয়েছে — বলতে হবে তাও। অন্যথা হলেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মকে ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। হতে পারে এক বছরের জেলও। অথবা দু’টিই।
কিন্তু, ২০১৮ সাল থেকেই তো এই নিয়ম চালু রয়েছে। তাহলে আচমকা সেটা নিয়ে এত কড়াকড়ি করা হচ্ছে কেন? চীনকে বার্তা দিতেই কি এই সিদ্ধান্ত? জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘ওসব আপনারা বুঝে নিন।’ পাসোয়ানের কথায়, ‘অ্যাক্ট এবং ফ্যাক্টে ফারাক হচ্ছে বলেই তো নজরদারি বাড়াচ্ছি। বিষয়টি চালু থাকলেও ঠিক মতো কার্যকর হচ্ছে না। তবে এবার হবে।’ চীনা সামগ্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা রয়েছে কি? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কৌশলী জবাব, ‘গ্রাহকরাই তা ঠিক করবেন। আমরা কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না।’