পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জঙ্গিরা বান্দিপোরার বিজেপি সভাপতি ওয়াসিমের বাড়িতে হামলা চালায়। সেই সময় বাড়ির নীচে দোকানে বসেছিলেন ওয়াসিম, তাঁর বাবা ও ভাই। স্থানীয় থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তিনজনকে খুন করা হয়। প্রত্যেকের মাথায় গুলি করা হয়েছে। জঙ্গিরা সাইলেন্সার লাগানো বন্দুক ব্যবহার করায় গুলির শব্দ শোনা যায়নি। ঘটনার সময় ওয়াসিমের নিরাপত্তারক্ষীরা কেউ ছিলেন না।
ঘটনার পর তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন আইজি বিজয় কুমার। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, জঙ্গিরা ওয়াসিমের উপর নজর রেখেছিল। ওয়াসিম যখন বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, তখন ভিডিও ফুটেছে একজনকে দেখা যায়। আবার যখন বাড়ি ফিরে আসে, তখনও ওই ব্যক্তিকেই দেখা গিয়েছে। ওয়াসিম বাড়ি পৌঁছে গেলে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ঘরে চলে যান। পরে ভাই ও বাবাকে নিয়ে ওয়াসিম দোকানে নেমে আসেন। কিন্তু তখন তাঁদের সঙ্গে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। আর তখনই ওই তিনজনকে জঙ্গিরা গুলি করে। এটা লস্কর জঙ্গিদের সুপরিকল্পিত হামলা।
পুলিস জানিয়েছে, ওয়াসিম হত্যায় যুক্ত জঙ্গিদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিজয় কুমারের কথায়, লস্করের ওই দলে একজন পাকিস্তানি এবং একজন কাশ্মীরের জঙ্গি ছিল। তার নাম আবিদ। ওই খুব কাছ থেকে তিনজনকে গুলি করে। ওরা আমাদের ট্র্যাকে আছে। খুব শীঘ্রই যৌথবাহিনী তাদের নিকেশ করবে। তবে বিজেপি সভাপতির সুরক্ষায় কোনও ফাঁক ছিল না বলে আইজি জানিয়েছেন। এদিকে, ওয়াসিম বারি হত্যার কড়া নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মু। এক বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, নিরাপরাধ মানুষের উপর এই নৃশংস হামলা মানবতাবিরোধী। এই কাপুরুষোচিত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচার হবেই।
অন্যদিকে, ওয়াসিম এবং তাঁর বাবা ও ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবিন্দর রায়না। এদিন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ওয়াসিমের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। তারপরেই রায়না বলেন, জঙ্গিদের খুঁজে বের করে তাদের খতম করা হবে। ওয়াসিম ভারতমাতার বীর সন্তান। পাকিস্তান মদতপুষ্ট এই জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা জানাই।