গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে, ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৪১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮২ জন। মোট মৃত্যু ২০ হাজার ৬৪২ জন। মৃত্যুহার কমে হয়েছে ২.৭৮ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৮৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৩০ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬১.৫৩ শতাংশ। মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৪৪ জন। দেশে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ। এই পাঁচ রাজ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। গত দু›সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে ৮০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯৭ জন। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিকে ভারতে সংক্রমণ যখন লাফিয়ে বাড়ছে, তখন উদ্বেগের কথা শুনিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমআইটি। ৮৪টি দেশের বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে এমআইটির স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট। সেই সমীক্ষা রিপোর্টটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‹এস্টিমেটিং দ্যা গ্লোবাল স্প্রেড অব কোভিড-১৯›। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও টিকা বা চিকিৎসা না বেরলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হবেন দৈনিক ২ লক্ষ ৮৭ হাজার মানুষ। তখন আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে থাকবে ভারত। তার ঠিক পরেই থাকবে আমেরিকা। ওই সময় আমেরিকায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হবেন ৯৫ হাজার মানুষ। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, আগামী আট মাসে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আমেরিকাতে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা দেবে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যত বেশি পরীক্ষা হবে, ততই সংক্রমণ রোখার কাজটা সহজ হবে। তবে গবেষকদের মতে, করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় গোটা বিশ্বেই গলদ রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, গোটা পৃথিবীতে বর্তমানে মোট আক্রান্তের ১২ গুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এবং মোট মৃত্যুর ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।