পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, গলওয়ানে কয়েক সপ্তাহ ধরে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই ঠান্ডা হয়েছে। তবে এর মধ্যেই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। রাতের দিকেও চলছে টহলদারি। যাতে প্রয়োজন পড়লেই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া যায়। কর্তারা বলছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রু পক্ষকে কুপোকাত করতে বায়ুসেনা একেবারে তৈরি। সেক্ষেত্রে সময়, আবহাওয়া, পরিস্থিতি ও এলাকা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। অত্যাধুনিক মিগ ২৯, সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার, একাধিক মিশনের জন্য ব্যবহৃত চিনুক হেলিকপ্টার সহ একাধিক বিকল্প রয়েছে ভারতের হাতে। এদিকে, ইতিমধ্যেই চীন পিছু হটতে শুরু করেছে। কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারত। তাই মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান এবং অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ফরওয়ার্ড এয়ারবেস থেকে রাতের বেলাতেও লাইন অব অ্যকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) ফলি এইচ মেজরের মতে, লাদাখে সব সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে এবং যে কোনও জায়গায় পূর্ণক্ষমতা নিয়ে অপারেশন চালাতে তৈরি বায়ুসেনা। টহলদারির মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ বাহাদুর বলেন, সমস্ত পেশাদার বাহিনীকে সব সময়, সমস্ত পরিস্থিতিতে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। লাদাখে রাতের বেলার হেলিকপ্টার চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার নিরিখে বাহাদুর বলেন, আগে পাহাড়ি এলাকায় রাতে বিমান-হেলিকপ্টার ওড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল।
কিন্তু, বর্তমানে সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। লাদাখের আবহাওয়া, পরিস্থিতি ও প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে যাতে বায়ুসেনার পাইলটরা আরও সড়গড় হয়ে উঠতে পারেন, তার জন্যই রাতের দিকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ওড়ানো হচ্ছে। এমনিতেই ভারত-চীন দ্বৈরথ শুরু হওয়ার সময় থেকেই সক্রিয় বায়ুসেনা। সি-১৭ গ্রোবমাস্টার ৩ ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট এবং সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিসও অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকায় সেনা ও রসদ পৌঁছে দিতে কার্যকরী হয়েছে। এছাড়া অ্যাপাচে ও চিনুক যুক্ত হওয়ায় বায়ুসেনার ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে বলে মত সমর বিশেষজ্ঞদের।