বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চীনের প্রতিশ্রুতি কতটা বিশ্বাসযোগ্য? ৪ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টে চীন এখনও সেনা মোতায়েন করেই রেখেছে। লালফৌজ সরেনি ১৭-এ পয়েন্ট থেকেও। সুতরাং যতক্ষণ না এই ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি থেকেও লালফৌজ পিছু হটছে, ততক্ষণ চীনকে বিশ্বাস করা যাবে না বলেই মনে করছে ভারত। একইভাবে চীনের কৌশল, এই সীমান্তকে আলোচনার ভরকেন্দ্রে রেখে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশে অনুপ্রবেশ করা। সুতরাং সেদিকেও ভারতকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
গলওয়ান উপত্যকায় চীনের আগ্রাসন ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর থেকে ১৩বার স্থানীয়ভাবে সেনাস্তরে এবং তিনবার লেফটেন্যান্ট জেনারেলদের মধ্যে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, চীন পিছিয়ে যাবে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই বিশ্বাসভঙ্গ করেছিল চীন। উল্টে নতুন নতুন সেক্টরে সেনা মোতায়েন হয়েছে। রবিবার দোভাল এবং ওয়াং ই কথা বলার পরই লাদাখের গলওয়ান উপত্যকার ১৪, ১৫ এবং ১৭ নম্বর পয়েন্ট থেকে চীন সরে যেতে শুরু করেছে বলে ভারত জানিয়েছে। শুধু যে সেনা সরিয়ে নেওয়া চলছে তাই নয়, তাঁবু, বাঙ্কার, অস্থায়ী মেটাল ব্রিজও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনা জানতে পেরেছে। রবিবার থেকেই শুরু হয়েছিল বর্ডার পয়েন্ট ভেরিফিকেশন। অর্থাৎ সর্বশেষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠকের পর গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস্তবে চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে মান্যতা দিয়ে পিছু হটছে কি না, তা যাচাই করা। সেই যাচাই পর্বেই জানা গিয়েছে, তিনটি পয়েন্ট থেকে চীন সত্যিই পিছনে সরছে।
বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে বিস্তারিত এবং গভীর আলোচনা হয়েছে। দুই প্রতিনিধিই স্বীকার করেছেন যে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে সমঝোতা হয়েছিল (অর্থাৎ মোদি এবং জি জিনপিংয়ের মধ্যে), সেই ঐকমত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সম্পূর্ণভাবে দু’পক্ষ সরে যাবে পিছনে। বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, দোভাল এবং ওয়ান ই স্থির করেছেন, এবার সামগ্রিক শান্তি ফেরানোই হবে দু’পক্ষের একমাত্র লক্ষ্য। ক্রমেই এশিয়ায় কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতেই কি চীনের এই সুর বদল? প্রশ্ন উঠছে। সোমবার কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরে আগ্রাসন নিয়ে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভিয়েতনামও।