পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত সপ্তাহেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, লকডাউনের চাপে সঙ্কটাপন্ন বিভিন্ন সংস্থাকে প্যাকেজ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা করা লোনভিত্তিক প্যাকেজের ফলে ব্যাঙ্কগুলি পুনরায় অনুৎপাদী সম্পদের বিপুল বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে। সেই মর্মে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন সরকারকে একঝাঁক প্রস্তাব ও সুপারিশ করেছে। অর্থমন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই সুপারিশ খতিয়ে দেখছে। সুতরাং আবার প্যাকেজের নামে আগের মতো ব্যাঙ্কলোনের সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণাই হবে, নাকি অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা দরকার, আপাতত সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আলোচনা চলছে। পাশাপাশি হোটেল, টেক্সটাইল, পর্যটন সেক্টর থেকেও দফায় দফায় সরকারের কাছে আবেদন এসেছে, তাদের অর্থনীতি কিভাবে চাঙ্গা হবে সেই দিশায় পদক্ষেপ নিতে। হোটেল ও পর্যটন সেক্টরের জন্য আশু কোনও সমাধান সরকারের কাছে নেই। কারণ, এখনই কোনও রাজ্য সরকার পর্যটনের জন্য দরজা খুলে দিতে নারাজ। পাঞ্জাব নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহিরাগতদের পাঞ্জাবে প্রবেশ করতে হলে ই-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কয়েকটি রাজ্য বহিরাগতদের জন্য এখনও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম চালু রেখেছে। তাই অর্থমন্ত্রক এই অবস্থায় কোনও প্যাকেজ দেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।
এদিকে মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থাগুলি চাইছে তাদের মোবাইল কলরেট বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হোক। মোবাইল অপারেটর প্রতিটি সংস্থাই ব্যাপক আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন বলে জানিয়েছে। শেষবার ডিসেম্বর মাসে মোবাইলের কল চার্জ পরিবর্তন করা হয়েছিল। আপাতত এই সংস্থাগুলি চাইছে, আগামী এক বছরের মধ্যে দু’দফায় রেট বৃদ্ধি করতে। তবে সেই বৃদ্ধি রেগুলেটরের মাধ্যমে হবে নাকি সংস্থার পক্ষ থেকেই নতুন চার্জ আরোপ করা হবে সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও এখন লকডাউনের পর আনলক টু পর্বের শুরুতে আবার মোবাইল রেট বেড়ে গেলে গ্রাহকদের উপর নতুন বোঝা চাপবে। এই কঠিন সময়ে সরকার সেই অনুমতি দেবে কি না তা অবশ্য নিশ্চিত নয়।