পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তেলেঙ্গানায় কোভিড-১৯ মোকাবিলার নেতৃত্বে রয়েছেন রাও। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর আশঙ্কা, আনলক পর্বে পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের শরীরেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ থাকবে না। বাকিদের সামান্য থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা যাবে। তবে যাঁদের বয়স বেশি এবং আগে থেকেই অন্য রোগ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে গুরুতর শারীরিক সমস্যা হবে। দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ু ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আরও ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে ফের ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি আক্রান্ত। পরিস্থিতি খারাপ অন্ধ্রপ্রদেশেও। তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটক, দুই রাজ্যই পশ্চিমবঙ্গের থেকে উপরে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ নেমে গিয়েছে অষ্টম স্থানে। দশম স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৬২ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। ১৫ বছরের নিচে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ১ হাজার ২০০। ফলে এই রাজ্যে অপেক্ষাকৃত কমবয়সিদের আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ঘটনাচক্রে দেশে প্রায় ফি দিনই ভাঙছে আগের রেকর্ড। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮৫০ জন নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৬৫ জনে। বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়াকে টপকে ভারত পৌঁছে গিয়েছে তিন নম্বর স্থানে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তবে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০.৭৭ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, মোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সুস্থতার হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে চণ্ডীগড় (৮৫.৯ শতাংশ)। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও (৬৬.৭ শতাংশ)। এদিকে, মিজোরামে আক্রান্ত অসম রাইফেলসের ৪ জওয়ান। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০ কর্মীরও।