নয়াদিল্লি: চীনের বিরুদ্ধে কার্যত ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ হেনে গত সপ্তাহেই ৫৯টি অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। কিন্তু সেগুলির বিকল্প কী? লাদাখে সেনার মনোবল বাড়ানোর পর অ্যাপের দিক থেকেও ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন ‘অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’। শনিবার তার সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি ‘স্বদেশি’ একটি অ্যাপও চালু হয়ে গেল ভারতে। রবিবার দেশের প্রথম ‘সোশ্যাল মিডিয়া সুপার অ্যাপ’ উদ্বোধন করলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। যার নাম, ‘এলিমেন্টস’। নির্মাতাদের দাবি, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে পাল্লা দেবে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি। অ্যাপটি তৈরি করেছেন এক হাজারেরও বেশি পেশাদার প্রযুক্তিবিদ। তাঁরা সকলেই শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের আর্ট অব লিভিং ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছাসেবক। আটটি ভারতীয় ভাষায় এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। লকডাউন চলাকালীন দেশীয় পণ্য ব্যবহারে করে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চীনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে তার রেশ ধরেই শনিবার তিনি এই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া অ্যাপস’ তৈরির চ্যালেঞ্জের সূচনা করেন। ট্যুইটারে মোদি লিখেছেন, ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিতে অটল ইনোভেশন মিশনের অধীনে আত্মনির্ভর ভারত অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের সূচনা করেছে বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। এর মূল লক্ষ্য বর্তমান অ্যাপগুলির জোরদার বিপণন এবং নতুন অ্যাপ তৈরি। এই পদক্ষেপ ‘আত্মনির্ভর অ্যাপ ইকোসিস্টেম’ তৈরি করবে। ভবিষ্যতে তিনি নিজেও সেগুলির কয়েকটি ব্যবহার করতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি এই লিঙ্কটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট লিঙ্কডইনেও শেয়ার করেছেন।
জানা গিয়েছে, বাজারে থাকা অ্যাপগুলিকে ই-লার্নিং, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বিজনেস, গেমিং, অফিসের উপযোগী বিষয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি মাপকাঠির ভিত্তিতে বাছাই করা হবে। এর মধ্যে ট্র্যাক ১-এর জন্য সবচেয়ে ভাল অ্যাপগুলিকে বেছে নেওয়া হবে। অন্যদিকে ট্র্যাক ২-তে নতুন অ্যাপ উদ্ভাবনে সহায়তা দেওয়া হবে। জয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।