লখনউ ও কানপুর: কানপুর এনকাউন্টারে ৮ পুলিসকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত বিকাশ দুবে এখনও অধরা। কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীর খোঁজে ২৫টিরও বেশি দল গড়ল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। পাশাপাশি, কানপুরের ঘটনায় চৌবেপুর থানার স্টেশন অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে সাসপেন্ড করা হল। পুলিসের অভিযানে যাওয়ার খবর তিওয়ারি আগেভাগেই দুবের কাছে চালান করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে এই পুলিস অফিসারকে জেরা করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সূত্রের খবর, অতীতে দুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতেও অস্বীকার করেন তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুবের মা সরলা দেবী বলেন, আমার ছেলে আত্মসমর্পণ না করলে পুলিস ওকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলুক। এমনকী, গ্রেপ্তার করতে পারলেও ওকে গুলি করে মারা হোক। পুলিসকর্মীদের খুন করে খুব খারাপ কাজ করেছে ও। কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। কানপুর পুলিসের আই জি মোহিত আগরওয়াল শনিবার বলেন, বিকাশ দুবে ও তার সাগরেদদের গ্রেপ্তার করতে ২৫টির বেশি দল গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছে এই দলগুলি। খোঁজ চলছে অন্য রাজ্যেও। পুলিসের শীর্ষকর্তারা জানাচ্ছেন, ৫০০টির বেশি মোবাইল ফোনে স্ক্যানিং করছে নজরদারি দলগুলি। মাঠে নেমেছে রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও।
বিকাশ দুবের নামে প্রায় ৬০টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আই জি আগরওয়াল বলেন, কুখ্যাত এই দুষ্কৃতী সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে। এনকাউন্টারে জখম সাত পুলিসকর্মীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। শুক্রবার রাতে লখনউয়ের কৃষ্ণনগর এলাকায় দুবের অন্য একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। কিন্তু সেখানে তার হদিস মেলেনি। এদিকে, দুবের কানপুরের একটি বাড়ি এদিন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় প্রশাসন।
নিহত ৮ পুলিসকর্মীর পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, পুলিসের উপর হামলায় জড়িতদের ছাড়া হবে না। ভাঙা হচ্ছে বাড়ি। পিটিআই