বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সুস্থতার হার বাড়লেও দাপট দেখিয়েই চলেছে করোনা। চার লক্ষ থেকে বেড়ে পাঁচ লক্ষ সংক্রমণ হয়েছিল আট দিনে। আর পাঁচ থেকে ছ’লক্ষের ব্যবধানটা কমে হল মাত্র পাঁচ দিন। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী, ২ জুলাই পর্যন্ত ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক। তারপর রয়েছে দিল্লি, গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ। এদিকে একজন কর্মীর করোনা ধরা পড়ায় ১০ জুলাই পর্যন্ত ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল সিল করে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।
গত ৩০ জানুয়ারি কেরলে দেশের প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস। চালু হয়েছে আনলক টু। আর তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে গিয়েছে গোয়া। ২৫০টি হোটেলকে ফের নিজেদের কাজকর্ম শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, করোনা আবহে বেশকিছু শর্ত মেনে চলতে। ভ্রমণের আগে, ভ্রমণ এবং ভ্রমণের পর—এই তিনটি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে নির্দেশিকা জারি করেছে পানাজি প্রশাসন। বলা হয়েছে, ভ্রমণের আগে সরকার নির্দিষ্ট হোটেল বুক করতে হবে এবং একটি সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। গোয়াতে পৌঁছনো মাত্র কোয়ারেন্টাইনে থাকতে না হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৪৮ ঘন্টা আগে নেওয়া করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র দেখাতে হবে। তা না থাকলে সেখানে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। পর্যটনমন্ত্রী মনোহর অজগাঁওকর বলেছেন, যদি গোয়ায় পৌঁছনোর পর কারও করোনা ধরা পড়ে তাহলে তিনি নিজেও রাজ্য ফিরে যেতে পারেন বা গোয়ায় থেকে চিকিৎসা করাতে পারেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই হোম আইসোলেশন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এইডস আক্রান্ত, ক্যান্সার রোগী, কিডনি বা হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয়েছে, এমন ব্যক্তি যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁদের হোম কোয়রান্টাইনে রাখা যাবে না। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, লিভার বা কিডনির জটিল সমস্যা থাকা ৬০ বছর বয়সের বেশি কোনও ব্যক্তি যদি করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পর যদি তিন দিন জ্বর না আসে এবং ১০ দিন ওই ব্যক্তি উপসর্গহীন থাকেন, তাহলে তাঁকে সুস্থ হিসেবে ধরা হবে। তবে তাঁকে আরও সাত দিন নিজেকে নজরে রাখতে হবে। আইসোলেশন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।