শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
কানপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ দুবে। তার নামে ৬০টির বেশি খুন, অপহরণ ও দাঙ্গার মামলা রয়েছে। ২০০১ সালে রাজ্যের মন্ত্রী সন্তোষ শুক্লা খুনেও নাম জড়ায় তার। ২০০২ সালে আত্মসমর্পণ করলেও মাথায় রাজনৈতিক দলের হাত থাকায় সে ছাড়া পেয়ে যায়। গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করতে ডিএসপি দেবেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে পুলিসের একটি দল ডিকরু গিয়েছিল। রাত ১টা নাগাদ পুলিসের দলটি কানপুরের চৌবেপুর থানার অন্তর্গত নির্দিষ্ট এলাকায় ঢোকে। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মুখে বিকাশের শাগরেদরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। গাড়ি থেকে নেমে পুলিস গ্রামে ঢুকতেই আচমকা একটি বাড়ির ছাদ থেকে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাণ হারান আট পুলিসকর্মী। দুষ্কৃতীরা পুলিসের হাতে থাকা এ কে-৪৭, ইনসাস রাইফেল সহ যাবতীয় আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত ডিজি আইন-শৃঙ্খলা, কানপুরের আইজি এবং এসএসপি। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি এইচ সি অবস্তি জানিয়েছেন, সম্ভবত এই অভিযানের খবর আগেভাগেই দুষ্কৃতীরা পেয়ে গিয়েছিল। বিকাশ ও তার দলবলকে ধরতে এলাকাজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চলছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত সীমানা। এসটিএফের আইজি অমিতাভ যশ দাবি করেছেন, ২০১৭ সালে বিকাশকে গ্রেপ্তারের সময় একটি স্বয়ংক্রিয় ৩০ স্প্রিং রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পরে লখনউয়ের একটি আদালত অন্য একজনের হাতে সেটি তুলে দেয়। গতকাল রাতে পুলিসের উপর হামলায় ওই রাইফেলটিই ব্যবহার করা হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে আদালত অন্য একজনের হাতে তা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার তদন্ত করা হবে।
নিহত পুলিসকর্মীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পাশাপাশি তিনি ডিজিকে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিষয়টিকে উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারাজের নিদর্শন দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ট্যুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যে পুলিসই যখন নিরাপদ নয়, তখন সাধারণ মানুষ কী করে সুরক্ষা পাবে? কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কানপুরের এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। উত্তরপ্রদেশকে ‘হত্যা প্রদেশ’ আখ্যা দিয়ে হত পুলিসকর্মীদের এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। ঘটনাটিকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী।