রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই টানাপোড়েন শুরু হয়, কারা নয়া মন্ত্রী হবেন তা নিয়ে। ফলে থমকে ছিল মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। শেষমেশ সিন্ধিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হল বিজেপি। সিন্ধিয়া শিবিরের নেতা হিসেবে এদিন শপথ নেন বিসাহুলাল সিং, আইদল সিং কানলানা, ইমারতী দেবী, প্রভুরাম চৌধুরী, মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া, প্রদ্যুম্ন সিং তোমার, হরদীপ সিং দাং, রাজবর্ধন সিং দাত্তিগাঁও। এঁরা সকলেই পূর্ণমন্ত্রী। এছাড়া ব্রজেন্দ্র সিং যাদব, গিররাজ দাণ্ডোদিয়া, সুরেশ ধাকড় এবং ওপিএস ভাদোরিয়া রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এদিন শপথগ্রহণ করেন। সিন্ধিয়া শিবিরের পাশাপাশি এদিন বিজেপির ৯ মন্ত্রী শপথগ্রহণ করেন। তবে সিন্ধিয়া শিবিরের নেতারা গত মার্চে বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁদের বিধায়ক পদ চলে গিয়েছিল। তাই এবার বিধানসভার উপ নির্বাচনে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
এদিকে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপিতে সিন্ধিয়া শিবিরের এই উত্থান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংয়ের কর্তৃত্বের উপর বড় প্রভাব ফেলেছে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে তিনি নিজের পছন্দের বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিন্ধিয়ার দাপটে শিবরাজকে দমে যেতে হয়। বুধবারই তাঁর গলায় সেই সুর ছিল স্পষ্ট। সিন্ধিয়া শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ‘মন্থনে অমৃতই বের হয়। কিন্তু বিষটা পান করে শিব।’ এদিন অবশ্য শপথগ্রহণের পর নয়া মন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিবরাজ ট্যুইট করেন, ‘আজ যেসব মন্ত্রীরা শপথ নিলেন আমি তাঁদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে এবং মানুষের কল্যাণে আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব। নতুন কোনও কাজে আপনাদের সকলেরই পূর্ণ সমর্থন পাব বলে আমার বিশ্বাস।’