নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘আনলক টু’ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী? এই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন বণিকসভা। সরকার ক্রমেই স্বাভাবিকতায় ফেরার পথে অগ্রসর হয়ে লেনদেন বাড়াতে উদ্যোগী। কিন্তু সেই সঙ্গে কিছু সেক্টর নিয়ে বাড়তি সতর্ক। সেই কারণেই একাধিক জীবিকার ক্ষেত্র অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই অভিযোগ জানিয়েই বিভিন্ন বণিকসভা কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। প্রায় সিংহভাগ শিল্প, বাণিজ্য, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকান, মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স চালু হয়ে গিয়েছে। রেস্তরাঁ, হোটেলও খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স চালুর অনুমতি দেওয়া হল না কেন, এই প্রশ্ন তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ করেছে বণিকসভাগুলি। চিঠি লিখেছে মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজও (ফিকি)। বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ও শিল্পবাণিজ্যকে সচল করতেই যেখানে কেন্দ্র উদ্যোগী, সেখানে একমাত্র এই দুটি সেক্টরকেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন?
মাল্টিপ্লেক্স শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ২ লক্ষেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান করে। বণিকসভার বক্তব্য, একমাত্র মাল্টিপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, সিনেমা শিল্পেই যথাযথ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু শপিং মল, দোকান, রেস্তরাঁয় যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সেই সুযোগ পাচ্ছে না সিনেমা ও মাল্টিপ্লেক্স শিল্প। বণিকসভার পক্ষ থেকে সরকারকে লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ইউরোপ ও আমেরিকার প্রায় সব দেশেই মাল্টিপ্লেক্স, সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম চালু হয়ে গিয়েছে। সেই সুযোগ ভারতেও দেওয়া উচিত। এভাবে চললে মাল্টিপ্লেক্সগুলিকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে মাল্টিপ্লেক্স ও অডিটোরিয়াম নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব কিনা সেই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক বৈঠক করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।