কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বর্তমানে শুধুমাত্র মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষের। করোনার বলি হয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিসের মোট ৬০ জন কর্মী। পরিস্থিতি সামলাতেই ১৫ জুলাই পর্যন্ত মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিস। পাশাপাশি এবছর গণেশ চতুর্থীর উৎসব বাতিল করল মুম্বইয়ের লালবাগিচা রাজা গণেশ মণ্ডল। এই সংগঠনের উৎসবটিই শহরে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ২২ আগস্ট থেকে উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও সংগঠনের তরফে এদিন জানানো হয়, উৎসব বাতিল করে রক্ত ও প্লাজমাদান কর্মসূচি পালন করা হবে। মুম্বইয়ের প্রতিবেশী থানে শহরেও ১২ জুলাই পর্যন্ত পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই শহরে শুধুমাত্র শেষ আট দিনে আড়াই হাজার জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা জেলায় শেষ ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে এদিন সন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, রাজধানীতে সংক্রমণের গতি আগের থেকে কমানো সম্ভব হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, জুনের শেষে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। যদিও বাস্তবে তার থেকে অনেক কম হয়েছে। ২৬ হাজারের মতো। দিল্লির প্রতিবেশী হরিয়ানা এদিন ঘোষণা করেছে, ২৭ জুলাই থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হবে। তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধই থাকছে। অন্যদিকে, পর্যটকদের জন্য রাজ্যের দরজা ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোয়া। এর জন্য আগামীকাল থেকেই ২৫০টি হোটেলকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নতুন রেকর্ড। এর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৫৩ জন। এই নিয়ে টানা ৫ দিন দৈনিক সংক্রমণ ১৮ হাজারের বেশিই থাকল। বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২০ হাজার ১১৪ জন। তবে সুস্থতার হার আরও বেড়ে হল ৫৯.৪৩ শতাংশ। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ।