বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন ‘স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ২০২০’ নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ)। তারা জানিয়েছে, ১৯৭০ সালে যেখানে বিশ্বজুড়ে নিখোঁজ মহিলাদের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ১০ লক্ষ। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লক্ষ। এর মধ্যে ভারতেই সন্ধান মেলেনি ৪ কোটি ৫৮ লক্ষের। আর চীনে সেই সংখ্যা ৭ কোটি ২৩ লক্ষ। ইউএনএফপিএ’র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. নাতালিয়া কানেম সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ফি বছর ভারতে জন্মের সময়ই ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কন্যাভ্রূণ হত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। একটি সূত্র আরও বলছে, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের পিছনে রয়েছে জন্মের আগে লিঙ্গ নির্ধারণের ঘটনা। জন্মের পর নারী মৃত্যুর কারণে খোঁজ মেলেনি বাকি এক-তৃতীয়াংশের। নারী মৃত্যুতেও ভারত শীর্ষে রয়েছে। সেখানে প্রতি ১০০০ মহিলার ১৩.৫ শতাংশ মারা যাচ্ছেন। প্রতি ন’জন মৃত মহিলার মধ্যে একজনের বয়স পাঁচ বছরের কম। এখানেই শেষ নয়, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর যে ১০ লক্ষ ২০ হাজার মহিলা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন, তাঁর ৯০ শতাংশ ঘটছে চীন (৫০ শতাংশ) ও ভারতে (৪০ শতাংশ)। ফলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ঢাকঢোল পিটিয়ে নরেন্দ্র মোদি যে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প চালু করেছিলেন, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভারতের ২০১৮ সালের স্যাম্পেল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম স্ট্যাটিস্টিকাল রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ফি বছর প্রতি ১০০০ জন পুত্র পিছু ৮৯৯ জন কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। ৯০০ লিঙ্গ অনুপাতের নীচে যে ন’টি রাজ্য রয়েছে সেগুলি হল, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও বিহার।