বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রক অবশ্য বলছে, যেসব রাজ্যে করোনার গ্রাস কমছে না, সেগুলির দিকেই নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের অভিমত, যেহেতু রাজ্যের নামটি গুজরাত, তাই বিষয়টি কিছুটা হলেও স্পর্শকাতর। গুজরাত বাদে যে সাতটি রাজ্য নিয়ে সরকার চিন্তিত, সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ। মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫টি কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যগুলি পরিদর্শন করেছে। তবে গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানায় পাঠানো হয়েছে বাড়তি বিশেষজ্ঞ টিম। নীতি আয়োগের বিশেষজ্ঞ সদস্য ডাঃ বিনোদ পলের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই টিম এখন গুজরাত পরিদর্শন করছে।
অন্যদিকে, কোন এলাকা থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, তার সন্ধানে এবার জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই মতো ‘আরোগ্য সেতু’ মোবাইল অ্যাপের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তৈরি ‘ইতিহাস’ নামে এক বিশেষ ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এই ব্যবস্থায় করোনার হটস্পট খুঁজে বের করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে বলেই মন্ত্রকের মত। আক্রান্ত হওয়ার আগে রোগীরা কোথায় কোথায় গিয়েছেন, তারও সন্ধান এখানে ধরা পড়বে। প্রাথমিকভাবে ভয়াবহ আকারে সংক্রমণ বাড়তে থাকা দিল্লির সব জেলায় এই ব্যবস্থা কাজে লাগানো হবে। পরে অন্যান্য রাজ্যেও তা চালু করবে সরকার। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই চীনকে ছাপিয়ে যেতে পারে দিল্লি। যদিও রাজধানীতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে না বলেই এদিন দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিছুদিন আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া আশঙ্কা করেছিলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে জুলাই মাসের শেষে সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এদিন তার সমালোচনা করে শাহ বলেন, উপমুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। কিন্তু দিল্লিকে সেরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে না।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯০৬ জন। মারা গিয়েছেন আরও ৪১০ জন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩ হাজার ৫১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ১৩ হাজার ৮৩২ জন। ফলে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষের বেশি।
সঙ্কট বাড়ছে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতেও। সেখানে মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশই চেন্নাইয়ে। সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে তেলেঙ্গানাও। গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সূত্রে খবর, অন্তত ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে।
লকডাউনের জেরে ফাঁকা রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে এক কিশোর। ছবি: এএফপি